Bagtui Massacre: ‘বেপাত্তা’ আনারুল, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলল পুলিশ
Rampurhat: এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর তাকে গ্রেফতারির পরই TV9 বাংলার তরফ থেকে ফোন করা হলে আনারুল ফোন ধরে। তবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
রামপুরহাট: বগটুই-কান্ডে প্রথম থেকে তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনের দিকেই আঙুল তুলছিল আক্রান্তদের পরিবার। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুলের নির্দেশেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। বগটুইতে গিয়ে সেই আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কোথায় আনারুল? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই আনারুল হোসেনের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। তবে কোনও খোঁজ নেই তাঁর। মনে করা হচ্ছে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর তাকে গ্রেফতারির পরই TV9 বাংলার তরফ থেকে ফোন করা হলে আনারুল ফোন ধরেন। তবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
বীরভূমের সন্ধিপুরে বাড়ি আনারুল হোসেনের। পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন বাড়ির ভিতরে। তবে আনারুল হোসেন এই মুহুর্তে কোথায়? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর অভিযোগ তিনি গা-ঢাকা দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর বাড়ির সামনে রয়েছে পুলিশ। নজর রাখা হয়েছে সেখানে। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আনারুল হোসেন কোথায় গা ঢাকা দিয়েছেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে কোথায় রয়েছে এই মুহুর্তে জানা যায়নি।
ইতিমধ্যে এলাকার প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছেন আনারুলের বাড়িতে। সঙ্গে সেখানে জড়ো হয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। আনারুলের সমর্থনেই রয়েছেন তারা। সোজা-সাপ্টা বক্তব্য আনারুলকে ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁর গ্রেফতারি কিছুতেই মেনে নেবেন না তাঁরা। পাশাপাশি তারা এও জানান, আনারুল খুবই ভালো লোক। তাঁকে গ্রেফতার করলে তাঁর অনুগামীদেরও গ্রেফতার করতে হবে। এদিকে, আনারুলের বাড়ির সামনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না ঘটে সেই কারণে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ।
কে এই আনারুল?
তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। নৃশংস এই ‘হত্যাকান্ডের’ পিছনে বৃহস্পতিবার থেকে বারবার তার নাম উঠে এসেছে। গতকাল TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে মুখ খুলেছিল তৃণমূলের এই নেতা। ‘আগুন লাগান হয়েছে তার নির্দেশে’ এই অভিযোগ শোনার পরও বিন্দুমাত্র বিচলিত নন তিনি। সাফ জানান, ওই সময় এলাকাতেই ছিলেন না তিনি। শুধু তাই নয়, শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন আনারুল।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। আনারুল জানিয়েছেন, ভাদু শেখ খুনের পরেই খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই বার বার শান্তির বার্তাও দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু ওই দিন রাত গড়াতেই গ্রামে অশান্তি নেমে আসে। কার্যত হত্যালীলার সাক্ষী হয় বগটুই। মৃত্যু হয় অন্তত ১০ জনের। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ ব্লক সভাপতি আনারুল নির্দেশেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামে।
আর আনারুলের দাবি, ভাদু খুনে অভিযুক্তরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যালীলা চালিয়েছে। তৃণমূলকে বদনাম করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ আনারুলের। আনারুল বলেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখলেও কোথাও তাঁকে এলাকায় দেখা যাবে না। তবে তাঁর দাবি, পুলিশের আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল।