CBI in Shantiniketan: দু’খানা গাড়ি দিয়েছিলেন অনুব্রতকে! এবার CBI-এর মুখোমুখি সেই মলয় পিট
CBI in Shantiniketan: মলয় পিট নামে ওই ব্যক্তি দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান। সেই সংস্থার নামে থাকা গাড়ির হদিশ মিলেছিল অনুব্রত মণ্ডলের রাইস মিলে।

বোলপুর : শুধু রাজনৈতিক নেতারাই অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ নন, ঘনিষ্ঠদের তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা কেউ ব্যবসায়ী, কেউ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার। বিভিন্ন সূত্রে তাঁদের কেষ্ট-যোগের প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। গরু পাচারের টাকার সঙ্গে অনুব্রত যোগ কতটা, তা খুঁজতে গিয়েই সে সব নাম উঠে আসছে গোয়েন্দাদের হাতে। এবার সেরকমই এক ব্যক্তির পলিটেকনিক কলেজে হানা দিল সিবিআই। অনেকদিন ধরেই গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন মলয় পিট। কলেজে গিয়ে তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
কেন নজরে মলয় পিট?
সিবিআই সূত্রে খবর, বীরভূমে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে মলয় পিটের। তৃণমূল সরকারের আমলেই শান্তিনিকেতনে মেডিকেল কলেজও তৈরি করেছেন মলয় পিট। দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান তিনি, একটি হল ‘স্বাধীন ট্রাস্ট’ এবং অপরটি হল ‘সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’। এই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অধীনেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি তৈরি করেছেন তিনি।
শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির পিছনে অনুব্রত মণ্ডলের ‘অবদানে’র কথা নিজে মুখেই স্বীকার করেছেন মলয় পিট। সূত্রের খবর, ওই মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে অনুব্রত মণ্ডল আর্থিক সাহায্য করেছেন বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, সেই আর্থিক লেনদেন সম্পর্কেই এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মলয় পিটকে। তাই শান্তিনিকেতন ইনস্টিটিউট অব পলিটেকনিক্যাল কলেজে গিয়েছেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা।
রাইস মিলে পাওয়া গাড়ির সঙ্গে যোগ রয়েছে মলয় পিটের!
বোলপুরে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের গ্যরাজে একাধিক গাড়ি দেখা গিয়েছিল। সেখানে সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কেনা একটি গাড়ি ও স্বাধীন ট্রাস্টের নামে থাকা আর একটি গাড়ি দেখতে পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। TV9 বাংলার সামনে মলয় স্বীকার করেছিলেন, ওই দুটি গাড়ি তিনিই দিয়েছিলেন অনুব্রতকে।
মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে ছিল অনুব্রতর ‘বিরাট অবদান’!
শান্তিনিকেতনে একমাত্র বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করেছেন মলয় পিট। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে তিনি অকপটে বলেছিলেন, ‘অনুব্রত বাবু সাহায্য করেছেন, নাহলে মেডিক্যাল কলেজ করতে পারতাম না।’ তাঁর কথায় অনুব্রতর ‘বিরাট অবদান’ রয়েছে। কী অবদান? তা খোলসা না করলেও মলয় বাবু বলেছিলেন, অনুব্রতর দাপট বেশি। তাই তাঁকে ছাড়া কলেজই হত না।
তাই অনুব্রত যখন গাড়ি চেয়েছিলেন, তখন নাকি আর কিছু বলতে পারেননি মলয় পিট। ট্রাস্টের দুটি গাড়ি দেওয়া হয়েছিল অনুব্রতকে। টাকা দেওয়ার কথা বলেননি অনুব্রত, চাইতে পারেননি মলয় বাবুও। এবার সেই ব্যক্তিকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানতে চায় সিবিআই।