Jay Shri Ram Slogan: নবীনবরণে সিউড়ির স্কুলে ছাত্রদের মুখে লাগাতার জয় শ্রী রাম স্লোগান, তুমুল বিতর্ক শিক্ষামহলে
Jay Shri Ram Slogan: বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের আবার দাবি করেছেন, যে শিক্ষক ছাত্রদের থামাচ্ছেন তিনি তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতা। ওই স্কুলও চলে তাঁর কথাতেই। তিনি বলছেন, “যা ঘটেছে ওই স্কুলে তা খুবই হৃদয়বিদারক। আমরা বুঝতেই পারছি না আমরা পশ্চিমবঙ্গে আছি নাকি পশ্চিম বাংলাদেশে আছি!”
সিউড়ি: জয় শ্রী রাম বিতর্ক এবার ঢুকে পড়ল বাংলার স্কুলে। শোরগোল বীরভূমে। একাদশ শ্রেণির নবীনবরণ অনুষ্ঠানে পড়ুয়ারা নিজেদের পরিচয় দিতে গিয়ে লাগাতার নিল রাম নাম। তারা যখন নিজেদের নামের পাশাপাশি জয় শ্রী রাম বলে স্টেজ ছাড়ছেন ততক্ষণে একেবারে করতালিতে ফেটে পড়ছে স্কুলে ক্যাম্পাস। বেশ কিছুক্ষণ লাইন দিয়ে ছাত্ররা একই কাজ করতে থাকলে দৌড়ে আসতে দেখা গেল এক শিক্ষককে। মাইক হাতে নিয়ে বললেন, ‘শুধু নাম বলবি, আর কিছু বলবি না তোরা। কোনও কিছুই বলার দরকার নেই। শুধু নমস্কার বলে নিজেদের নাম বলবি।’ শিক্ষকের এই কর্মকাণ্ডে রেগে লাল বিজেপি। চাঞ্চল্যকর ঘটনা সিউড়ি-২ ব্লকের পুরন্দরপুর হাইস্কুলে।
বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের আবার দাবি করেছেন, যে শিক্ষক ছাত্রদের থামাচ্ছেন তিনি তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতা। ওই স্কুলও চলে তাঁর কথাতেই। তিনি বলছেন, “যা ঘটেছে ওই স্কুলে তা খুবই হৃদয়বিদারক। আমরা বুঝতেই পারছি না আমরা পশ্চিমবঙ্গে আছি নাকি পশ্চিম বাংলাদেশে আছি!” জানা গিয়েছে ওই শিক্ষকের নাম অভিজিৎ নন্দন। তিনি যদিও বলছেন, “বুধবার স্কুলে একাদশ শ্রেণির নবীনবরণ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে পড়ুয়াদের কেউ সালাম আলাইকুম, কেউ জয় শ্রীরাম বলছিল। অন্য শিক্ষকরা আমাকে বিষয়টি বলেন। তখন আমি শুধু বলেছি তোমরা শুধু নমস্কার বলো। বিদ্যালয় রাজনীতির জায়গা নয়। সে কারণেই আমি শুধু ওদের নমস্কার বলে নাম আর ক্লাস বলতে বলি।”
পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তৃণমূলের সিউড়ি-২ ব্লকের সভাপতি নুরুল ইসলাম বলছেন, “স্কুলে সব ধর্মের পড়ুয়ারা থাকে। তাই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি হয়নি। আমার ৪১ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনও ধর্ম, জাতপাত নিয়ে রাজনীতির কথা ভাবিনি।”