TMC: কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করবে না, আচমকা কেন একথা বললেন ববি-কন্যা প্রিয়দর্শিনী
Priyadarshini Hakim: তৃণমূল সরকার রাজ্যের মহিলাদের জন্য কী কী করেছে, কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা পৌঁছে দিচ্ছেন দলের মহিলা নেত্রীরা। সেই সূত্রেই সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে কোমা গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন ফিরহাদ-কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। তিনি তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেডের অন্যতম বড় মুখ। সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
সিউড়ি: লোকসভা ভোটের আগে নজরে রাজ্যের মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক। রাজ্য রাজনীতির প্রচলিত ধারণা, বাংলার মহিলা ভোটব্যাঙ্কের একটি বড় অংশ শাসক দল তৃণমূলের কুক্ষিগত। তবে চব্বিশের মহারণের আগে, এতটুকুও ফাঁক ফোকড় রাখতে নারাজ শাসক শিবির। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের তরফে জেলায় জেলায় চলছে পাড়া বৈঠক কর্মসূচি। তৃণমূল সরকার রাজ্যের মহিলাদের জন্য কী কী করেছে, কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা পৌঁছে দিচ্ছেন দলের মহিলা নেত্রীরা। সেই সূত্রেই সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে কোমা গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন ফিরহাদ-কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। তিনি তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেডের অন্যতম বড় মুখ। সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
পাড়া বৈঠকে বসে এলাকার মহিলাদের মন বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। শুনলেন তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা। মহিলাদের জন্য রাজ্য সরকার যে ঢালাও কাজ করেছে, তারপর আর কেউ তৃণমূলের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করবে না বলেই মনে করছেন প্রিয়দর্শিনী হাকিম। ফিরহাদ-কন্যার কথায়, “দিদি যা যা প্রকল্প করেছেন, তারপর আমাদের মনে হয় না, মহিলারা অত বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন। দিদি যা যা দিয়েছেন, তারপর আমার মনে হয় না, মহিলারা আর কেউ কোনও বিষয়ে কিছু বলতে পারি।”
প্রিয়দর্শিনী ভীষণ আত্মবিশ্বাসী মহিলা ভোটব্যাঙ্কের বিষয়ে। চব্বিশের লোকসভা ভোটই যে পাখির চোখ, তাও বুঝিয়ে দিলেন তিনি। যদিও মন্ত্রী-কন্যার বক্তব্য, নির্বাচন থাকুক বা না থাকুক, এই ধরনের কর্মসূচি ও বৈঠক তাঁদের সারাবছর ধরেই চলে। তবে যেহেতু তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের থেকে একটি কর্মসূচির কথা বলা হয়েছে, সেই জন্যই তাঁর এখানে আসা। পাশাপাশি আসন্ন লোকসভা ভোটে রাজ্যজুড়ে ইডি-সিবিআই-এর তৎপরতার কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন প্রিয়দর্শিনী। তাঁর বক্তব্য, মানুষ সব বোঝেন।