Visva bharati: পুজোর আগে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর, করল বড় পদক্ষেপ
Birbhum: গত ১৭ তারিখ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একটি নোটিস জারি করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, 'বিশ্বভারতীর ইন্টারন্যাশনাল গেস্ট হাউস' থেকে 'ফায়ার ব্রিগেড' মোড় পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার উপর কোনও হকার বসা যাবে না। সাত দিনের মধ্যে সমস্ত হকারকে উঠে যেতে হবে। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

বোলপুর: আর তো কয়েকটা দিন। তার আগে জমজমাটি পুজোর আয়োজন চলছে। লাইটিংয়ের কাজ চলছে, বসছে হোডিং। মানুষজনও তৈরি হচ্ছেন ধীরে ধীরে। একদিকে যখন চারদিকে পুজো পুজো আমেজ। সেই সময় আবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ, রাস্তার পাশে থাকা হকারদের কাছে এল উচ্ছেদের নোটিস দিল বিশ্বভারতী। আর তা ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা। প্রচুর সমস্য়ায় ব্যবসায়ীরা।
গত ১৭ তারিখ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একটি নোটিস জারি করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘বিশ্বভারতীর ইন্টারন্যাশনাল গেস্ট হাউস’ থেকে ‘ফায়ার ব্রিগেড’ মোড় পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার উপর কোনও হকার বসা যাবে না। সাত দিনের মধ্যে সমস্ত হকারকে উঠে যেতে হবে। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
তৃণমূল বলছে, বিতর্কিত উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সময় একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন। নতুন উপাচার্য আসাতে তাঁরা আশ্বস্ত হয়েছিলেন। ভেবেছিলেন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবেন তিনি। কিন্তু তিনিও সেই একই পথে হাঁটছেন। পুজোর আগে সাধারণ মানুষকে ব্যবসা না করতে দেওয়া বা এই ধরনের নোটিস একেবারেই ঠিক নয় দাবি তৃণমূলের।” একই দাবি তুলেছে বামেরাও।
অপরদিকে, বিজেপির দাবি, বিশ্বভারতী তাদের নিজস্ব জায়গায় কী করবে সেটা তাদের একদমই ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু পুজোর আগে হঠাৎ করে নোটিস দেওয়াটা ঠিক মেনে নিতে পারছেন না।
এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা পঁচিশ থেকে তিরিশ বছর ধরে ব্যবসা করছি। কোনও রকম নোংরা আবর্জনা ফেলে রাখি না। বিশ্বভারতীর নির্দেশ মেনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকি। তারপরে পুজোর আগে কেন এই ধরনের নোটিস দেওয়া হল কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে খাব কী? পড়াশোনা করা বন্ধ হয়ে যাবে বাচ্চাদের।” আরও এক ব্যক্তি বলেন, “হয়ত সময় দিয়েছেন। কিন্তু দিলেও বা কী হবে? আমরা এখন কোথায় যাব?”
