Scrub Typhus: বীরভূমে চওড়া হচ্ছে স্ক্রাব টাইফাসের থাবা, ২ মৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ, হাসপাতালে ৫৬
Scrub Typhus: যত রোগীর খোঁজ মিলেছে তাঁদের সিংহভাগই বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের ১ নং ব্লকের গাজিপুর আদিবাসী পাড়ার বলে জানা যাচ্ছে। আক্রান্তের শুরুতে আনা হয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে তাঁদের পাঠানো হয় রামপুরহাটে।
ময়ূরেশ্বর: স্ক্রাব টাইফাস আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে। ভয় বাড়ছে আদিবাসী জনপদে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্য়েই একই পাড়ার ৪৯ জনের শরীরে বাসা বেঁধেছে স্ক্রাব টাইফাসের ভাইরাস। বমি, পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫০ জনেরও বেশি। একইসঙ্গে ইতিমধ্যেই আবার মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন ২ জন। যদিও তাঁরা স্ক্রাব টাইফাসেই মারা গিয়েছেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তাতেই আরও বেড়েছে উদ্বেগ। যদিও তাঁরা যে স্ক্রাব টাইফার্সে আক্রান্ত হয়েছেন তা বোঝা যাচ্ছি না শুরুতে। মনে করা হচ্ছিল ডায়রিয়ার কবলে পড়েছেন। উদ্বেগ বাড়তেই এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে মেডিকেল টিম। নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতরও।
যত রোগীর খোঁজ মিলেছে তাঁদের সিংহভাগই বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের ১ নং ব্লকের গাজিপুর আদিবাসী পাড়ার বলে জানা যাচ্ছে। আক্রান্তের শুরুতে আনা হয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের অনেককেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই ভর্তি রয়েছেন সিংহভাগ রোগী।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রামপুরহাটেই ভর্তি রয়েছেন ৫৬ জন রোগী। শুক্রবারও নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন রোগী। চিন্তা বেড়েছে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক শোভন দের। তিনি জানাচ্ছেন, ৩ জনের শরীরে এই ভাইরাসের ছাপ পাওয়া গিয়েছে পরীক্ষায়। সকলের উপসর্গও এক। বাকিদের পরীক্ষা চলছে। রক্তের নমুনাও নেওয়া হয়েছে। গ্রামে রয়েছে মেডিকেল টিম। তবে তাঁর দাবি, আগের থেকে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।