AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Basudeb Acharia: বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র মানেই তিনি, বাসুদেবের সংসদীয় রাজনীতি শেষ হয় ‘আনকোরা’ মুনমুনের কাছে হেরে

Basudeb Acharia: ১৯৮০ সালে তিনি প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮১ সালে সিপিএম-এর পুরুলিয়া জেলা কমিটির সদস্য হন তিনি। ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি ছিলেন সিপিএম-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য।

Basudeb Acharia: বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র মানেই তিনি, বাসুদেবের সংসদীয় রাজনীতি শেষ হয় 'আনকোরা' মুনমুনের কাছে হেরে
বাসুদেব আচারিয়া (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Nov 13, 2023 | 3:58 PM
Share

পুরুলিয়া: শুধুমাত্র সিপিএম-এর ক্ষতি নয়, বাংলার রাজনীতির একটা বড় ক্ষতি। বাসুদেব আচারিয়ার মৃত্যুতে এমনটা বলছে বিরোধী তৃণমূল। শ্রমিকদের আন্দোলন মানেই যিনি ছুটে যেতেন, তিনি যে আর নেই সে কথা মানতে পারছেন না অনেকেই। বাঁকুড়ার ৯ বারের সাংসদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে রাজনৈতিক মহলে। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের সঙ্গে যেন সমার্থক হয়ে উঠেছিলেন বাসুদেব আচারিয়া। ১৯৮০ থেকে ২০১৪ অর্থাৎ প্রায় ৩৪ বছর ধরেই সাংসদ ছিলেন তিনি। তাঁর সংসদীয় রাজনীতি শেষ হয়ে যায় ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে। তৃণমূলের টিকিটে তাঁকে হারিয়েছিলেন মুনমুন সেন।

পুরুলিয়ার জেলা সিপিএম সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, বাসুদেব আচারিয়া শ্রমিকদের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছিলেন, সেটা সবাই মনে রাখবে। তিনি জানিয়েছেন, যতদিন চলার ক্ষমতা ছিল, ততদিন উনি ছুটে যেতেন শ্রমিকদের আন্দোলনে। পুরুলিয়া জেলার উন্নয়নেও ছিল তাঁর অবদান। রঘুনাথপুরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল তাঁর উদ্যোগেই। বাসুদেব আচারিয়ার অবদান স্বীকার করছেন জেলার তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়াও। তাঁর জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে মুনমুন সেন যে জিতে যাবেন, সেটা বোধহয় অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত ছিল।

শুধু একজন সাংসদ নন, লোকসভায় একাধিক কমিটির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বাসুদেব আচারিয়া। রেলওয়ে, লোকসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি, জেনারেল পারপাস কমিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। রেল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দায়িত্ব সামলেছেন ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। পাওয়ার কমিটির কনভেনার ছিলেন ১৯৯৮ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত। এছাড়া পিটিশনস কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত।

১৯৮০ সালে তিনি প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮১ সালে সিপিএম-এর পুরুলিয়া জেলা কমিটির সদস্য হন তিনি। ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি ছিলেন সিপিএম-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য। ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত পাবলিক আন্ডারটেকিংস কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি কৃষি কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সংসদ সদস্য হিসাবে তিনি বেশ কয়েকটি দেশ সফর করেছেন। চতুর্দশ লোকসভায় সিপিএম-এর সংসদীয় দলের নেতা ছিলেন বাসুদেব আচারিয়া। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল,  সিপিএম-এর শ্রমিক সংগঠন সিটু-র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন  তিনি। ছিলেন সিটু-র রাজ্য কমিটির সদস্য।