Balurghat: বিধায়ক তহবিলের টাকায় সৌর বাতি, ‘কৃতজ্ঞতা’ স্বীকার না করায় সরব বিজেপি
Balurghat : বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী বিধায়ক তহবিল থেকে পুরসভাকে ১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এই টাকা দিয়েছিলেন বালুরঘাট চকভবানী এলাকায় থাকা শ্মশান চত্বরে সৌর বাতি লাগানোর জন্য।
বালুরঘাট: বিধায়ক তহবিলের টাকায় বালুরঘাট চকভবানী শ্মশানে বসেছে সৌর বাতি। গত মঙ্গলবার ঘটা করে সেই সোলার লাইটের উদ্বোধন করেছে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভা কর্তৃপক্ষ। যাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বির্তক। বিধায়ক তহবিল থেকে সৌর বাতি বসলেও তার উল্লেখ করেনি পুরসভা কর্তৃপক্ষ। এমনকি লাগানো হয়নি কোনও ফলক। যা নিয়ে সরব হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বালুরঘাটের বিধায়ক তহবিলের টাকায় সৌর বাতি বসেছে তা লিখে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। গেরুয়া শিবিরের সমালোচনাকে গুরুত্ব না দিয়ে তৃণমূল বলছে, প্রচারে আসার জন্য বিজেপি এই ধরনের কথা বলছে।
বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী বিধায়ক তহবিল থেকে পুরসভাকে ১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। মূলত এই টাকা দিয়েছিলেন বালুরঘাট চকভবানী এলাকায় থাকা শ্মশান চত্বরে সৌর বাতি লাগানোর জন্য। কারণ এই শ্মশানে দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে মৃতদেহ সৎকার করতে। কিন্তু শ্মশানে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো। যা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হত সাধারণ মানুষকে। সেই জায়গা থেকেই বিধায়কের কাছে স্থানীয়রা দরবার করেছিলেন সোলার লাইটের ব্যবস্থার জন্য। সেই মত সোলার লাইট বসানোর জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ করেন বিধায়ক। বালুরঘাট পুরসভা কিছুদিন আগেই সেই সোলার লাইট বসানোর কাজ শেষ করে। গত মঙ্গলবার রাতে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেই সোলার লাইটের উদ্ধোধন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক কুমার মিত্র, ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ্তা চক্রবর্তী সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা।
এই সোলার লাইট উদ্ধোধন করতেই এনিয়ে সরব হয় বিজেপি। কারণ সোলার লাইট বিধায়ক তহবিলের টাকায় বসানো হলেও একবারের জন্য এনিয়ে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেনি পুরসভা কর্তৃপক্ষ। এমনকি লাগানো হয়নি বিধায়ক তহবিলের নাম উল্লেখ করা কোন ফলক। বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, “বিধায়ক তহবিল থেকে বালুরঘাট শহরের চকভবানী শ্মশান কালী বাড়ি এলাকায় সৌর বাতি বসানো হয়েছে। পুরসভা এই কাজটি করেছে খুব ভাল কথা। কিন্তু ওই বাতিস্তম্ভে বিধায়কের নাম পর্যন্ত নেই। অথচ পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানরা নিজেদের সুনাম অর্জন করতে ঘটা করে উদ্বোধন করছেন। যেখানে বিজেপি বিধায়ক উন্নয়নের কাজ করছেন, সেই কাজকে নিজেদের বলে ফলানোর চেষ্টা করছে পুরসভা। তৃণমূলের মিথ্যা রাজনীতিকে ধিক্কার জানাই।”