Migrant worker: স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ফেরা হল না, ট্রেনেই মৃত্যু বালুরঘাটের পরিযায়ী শ্রমিকের
Migrant worker: সইদুর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে প্রায় মাস ১০ আগে দিল্লিতে কাজ করতে যান। এই প্রথমবার ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। গত শুক্রবার দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরেন। বাড়ি ফেরার পথে এদিন সকালে ট্রেনেই মৃত্যু হয় ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। জানা গিয়েছে, আগে বাড়িতে কৃষিকাজ করতেন সইদুর। দিল্লিতে একটি কোম্পানিতে স্বামী-স্ত্রী হাউসকিপিংয়ের কাজ করতেন।
বালুরঘাট: দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। রবিবার বালুরঘাট স্টেশনে ট্রেন পৌঁছনোর আগে মৃত্যু হয় তাঁর৷ মৃত ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম সইদুর সরকার(৩৩)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের বদলপুর এলাকায়। বালুরঘাট জিআরপি থানার পুলিশ ওই তরুণের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
সইদুর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে প্রায় মাস ১০ আগে দিল্লিতে কাজ করতে যান। এই প্রথমবার ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। গত শুক্রবার দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরেন। বাড়ি ফেরার পথে এদিন সকালে ট্রেনেই মৃত্যু হয় ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। জানা গিয়েছে, আগে বাড়িতে কৃষিকাজ করতেন সইদুর। দিল্লিতে একটি কোম্পানিতে স্বামী-স্ত্রী হাউসকিপিংয়ের কাজ করতেন। এদিকে দিল্লিতে যাওয়ার মাস ছয়েক পরই হঠাৎ হার্টের সমস্যা দেখা যায় সইদুরের। বিষয়টি নজরে আসতেই তাঁর স্ত্রী সরিফা বিবি দিল্লিতেই স্বামীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসক বিশ্রামে থাকতে বলেছিলেন। তাই চার মাস ধরে স্বামীকে কাজেও পাঠাননি সরিফা।
কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে সইদুরের শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটে। তারপরই তাঁরা বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। ট্রেনে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সরিফা বিবি জানান, গঙ্গারামপুর পার হওয়ার পরই মারা যান তাঁর স্বামী। বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সরিফা বিবি। বালুরঘাট স্টেশনে ট্রেন থেকে দেহ নামানো হয়। ময়নাতদন্তে জন্য দেহ হাসপাতালে পাঠায় জিআরপি।