TMCP leader Kohinoor Majumdar: ‘ওরা কী করছে নজর রাখছি’, বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঢুকে ‘স্পাইগিরি’ তৃণমূলের কোহিনুরের

TMCP leader Kohinoor Majumdar: বিজেপির ন্যাশনাল গ্রোথ কমিটি নামে ওই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৩৪৩ জন। যে গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে রয়েছেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-ও এই গ্রুপের অ্যাডমিন। সেই গ্রুপে ৩৪৩ জন সদস্যের মধ্যে একজন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি কোহিনুর মজুমদার।

TMCP leader Kohinoor Majumdar: 'ওরা কী করছে নজর রাখছি', বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঢুকে 'স্পাইগিরি' তৃণমূলের কোহিনুরের
কেন বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য হয়েছেন তৃণমূলের কোহিনুর মজুমদার?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2024 | 7:39 PM

কলকাতা: তিনি রাজ্যের শাসকদলের মুখপাত্র। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি। তিনিই কি না বিজেপির একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য। যে গ্রুপে শান্তনু ঠাকুরের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন। সৌমিত্র খাঁর মতো সাংসদ রয়েছেন। সেই গ্রুপে কীভাবে তৃণমূলের কোহিনুর মজুমদার সদস্য হলেন? বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়েছে।

বিজেপির ন্যাশনাল গ্রোথ কমিটি নামে ওই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৩৪৩ জন। যে গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে রয়েছেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-ও এই গ্রুপের অ্যাডমিন। সেই গ্রুপে ৩৪৩ জন সদস্যের মধ্যে একজন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি কোহিনুর মজুমদার। রাজ্যের শাসকদলের একজন মুখপাত্রও তিনি।

তৃণমূল নেতা হয়ে কেন ওই গ্রুপের সদস্য হলেন? তিনি কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? প্রশ্ন শুনেই হো-হো করে হেসে উঠলেন তৃণমূলের কোহিনুর। তারপর তিনি বলেন, “বিজেপির গ্রুপে আমি একা নয়। এবং একটা বিজেপির গ্রুপে নয়। সন্দেশখালি ও আরজি কর কাণ্ডের পর হিংসা ছড়ানোর যে চেষ্টা এরা করছে, তাতে প্রচুর তৃণমূলের নেতা-কর্মী বিজেপির এরকম গ্রুপে রয়েছে। এইসব গ্রুপে অনেক ভুল তথ্য দেয়। ফেক নিউজ ছড়ায়। গ্রুপে না থাকলে প্রশাসন এগুলো জানতে পারত না। কোন অঞ্চলে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে, আমার দলও জানতে পারত না। আমরা এর উপর নজর রাখছি।”

এই খবরটিও পড়ুন

প্রশ্ন করা হয়, তিনি গ্রুপে রয়েছেন, অথচ বিজেপি জানে না? কোহিনুর বলেন, “বিজেপি জানবে কী করে। বিজেপির সংগঠন বলে কিছু আছে নাকি। ওরা জানে না, ওদের কোন কোন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তৃণমূলের কে কে আছেন।”

বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কোহিনুরের সদস্য হওয়া নিয়ে সিপিএম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা অনেকদিন ধরেই বলে আসছি, তৃণমূল ও বিজেপির শোরুম আলাদা। গোডাউন একই। এমনিতে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির গ্রোথ করাতে তৃণমূল যথেষ্ট সাহায্য করেছে। সেই সাহায্যের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ওরা গ্রুপে তৃণমূল নেতাদের ঢুকিয়েছিল কি না, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কী করে অগ্রগতি করতে পারে, তা নিয়ে এখনও পরামর্শ দেয় কি না, তা চর্চার বিষয় হওয়া উচিত। আর একবার পরিষ্কার হল যে ওরা একে অপরের সঙ্গে যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ।”

বিজেপির গ্রুপে কীভাবে তৃণমূলের কোহিনুর? প্রশ্ন শুনে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “ও হয়ত বিজেপি করতে আগ্রহী। সেই জন্য বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে। এখন তো কেউ তৃণমূল করতে চায় না। কোহিনুর বুদ্ধিমান ছেলে। ও হয়তো বিজেপিতে ধীরে ধীরে মনোনিবেশ করছে। এটাই হয়তো ওর প্রথম পদক্ষেপ। এখন ধরা পড়ে গেছে। তৃণমূল বকাবকি করবে। তাই এসব বলছে।”

কিন্তু, বিজেপি নেতারা বুঝতে পারলেন না যে তাঁদের গ্রুপে তৃণমূল নেতা সদস্য হিসেবে রয়েছেন? শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “এটা কাঙ্ক্ষিত নয়। এগুলো তো চৌর্যবৃত্তির সমান। একজন যুব নেতা। তাঁর এটা করা উচিত নয়। এটার তীব্র নিন্দা করা দরকার।” একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “আমি এই গ্রুপে নেই। তবে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সতর্ক থাকা দরকার। এটা আমাদের দোষ। সবাইকে বলব আগামিদিনে যাতে সতর্ক থাকেন। বিরোধীরা তো চেষ্টা করবেই ভেতরে ঢুকে খবর নিয়ে গন্ডগোল পাকাতে।”