Sukanta Majumdar: “বঙ্গ রাজনীতির মহীরুহের পতন” শোকপ্রকাশ বিজেপি রাজ্য সভাপতির
Subrata Mukherjee's Death: তিনি বলেন, "একসময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্বর্গীয় ইন্দিরা গান্ধীর কাছের মানুষ ছিলেন।"
বালুরঘাট: রাজনীতিতে তাঁরা দু’জনই ছিলেন একের অন্যের বিপরীত। রাজনৈতিক কারণে একে অন্যকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন একাধিকবার। কিন্তু গতকালের ‘খারাপ খবর’ শুনে ভেঙে পড়েছেন তিনি। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
গতকাল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) প্রয়াণে একটি ভিডিয়ো বার্তায় শোকপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এক রাজনৈতিক মহীরুহের পতন। মাননীয় সুব্রতবাবু স্বর্গীয় হয়েছেন। ছাব্বিশ বছর বয়সে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের মন্ত্রী সভাতে তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রী হয়েছিলেন। সেই যুগ থেকে আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি অন্যতম প্রধান মুখ। একসময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্বর্গীয় ইন্দিরা গান্ধীর কাছের মানুষ ছিলেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি এবং ওঁনার আত্মার শান্তি কামনা করি। সঙ্গে ওনার পরিবারের যাঁরা রয়েছেন ঈশ্বর তাঁদেরকে দুঃখ সহ্য কারার মতো শক্তি দিক এই প্রার্থনা করি। ”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) । মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, রাত ৯টা ২২ নাগাদ সিভিয়ার কার্ডিয়াক অ্যারাস্ট হয় তাঁর। তাতেই বাহাত্তরে নিভল জীবনপ্রদীপ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আচমকাই সুব্রতবাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এসএসকেএম সূত্রে খবর, স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে আক্রান্ত হন মন্ত্রী। কিছুদিন আগেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। কার্ডিওলজি বিভাগে আইসিইইতে ভর্তি তিনি। সেখানেই স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে সুব্রত মুখোপাধ্যায় আক্রান্ত হন। সেই স্টেন্টের জায়গায় রক্ত জমা বেঁধে যায়। ফলে সেই স্টেন্ট বের করে নেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ নেই। এরপরই দ্রুত বিশেষজ্ঞদের ডেকে পাঠানো হয়। তাঁরা সবরকম চেষ্টা করছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার। অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাপোর্টে তাঁকে রাখার চেষ্টা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রাত সাড়ে ১১টার সময় এসএসকেএম থেকে শববাহী গাড়ি করে সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে পিস ওয়ার্ল্ডে। সেখান থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে নটার সময় দেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্রসদনে। সেখানে শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপণের পর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর ক্লাবে এবং বাড়িতে। দুপুর ২ টো পর্যন্ত রবীন্দ্রসদনে শায়িত থাকবে মরদেহ।
সুব্রতবাবুর আইনজীবী মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে মুড়ি-চপ, চাউমিন খেতে চেয়েছিলেন। সেকথা নিজে মুখেই বলেছিলেন। কিন্তু,তারপরেই তাঁর দাঁতে দাঁত লেগে যায়। কিছু সময় পরে বাথরুমে যান। সেখানেই শেষ। বাথরুম থেকে বেরনোর পরেই হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। তারপরেই সব শেষ! ইচ্ছে মতো পছন্দের খাবারও তাঁর খাওয়া আর হল না।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: মুখ থেকে খারাপ কথা বেরোলে দাদা সংশোধন করে দিতেন, জ্ঞান দিতেন!