উপচে পড়ছে লাশ, পরিচয় নেই কোনও, এবার দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে মেডিক্যাল কলেজের
Medical College: শিলিগুড়ির চারটি থানা ছাড়াও কার্শিয়াঙসহ পাহাড়ের বিভিন্ন থানা এলাকার দেহ যায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। গ্রামাঞ্চলে মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া এলাকার দেহও ময়নাতদন্তের জন্য সেখানেই যায়।
শিলিগুড়ি: অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহ উপচে পড়ছে লাশঘরে। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে, দেহ সৎকার না করা হলে নতুন দেহ রাখার বন্দোবস্ত আর করা যাচ্ছে না। এবার দেহ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ। নতুন করে প্রতিদিন যে সব অজ্ঞাত পরিচয় দেহ আসছে, তা আর রাখা হচ্ছে না। ময়নাতদন্ত করার পর তা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিস্ট থানাগুলিকে।
সাধারণত যে সব ব্যক্তির দেহের পরিচয় আছে, সেই সব দেহের ময়নাতদন্তের পর তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ এলে, তা ময়নাতদন্তের পর সৎকার করতে নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া আছে। সেই ক্ষেত্রে ওই দেহের ছবিসহ বিজ্ঞাপন দেয় পুলিশ। তারপর সাত দিন অপেক্ষার পর দেহ সৎকার করা হয়। অভিযোগ, সেই সৎকারে উদ্যোগ নেয় না পুলিশ, ফলে জমছে লাশের পাহাড়।
শিলিগুড়ির চারটি থানা ছাড়াও কার্শিয়াঙসহ পাহাড়ের বিভিন্ন থানা এলাকার দেহ যায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। গ্রামাঞ্চলে মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া এলাকার দেহও ময়নাতদন্তের জন্য সেখানেই যায়। ফলে প্রতিদিন বহু দেহ ময়নাতদন্তের জন্য যায়। তা সংরক্ষণ করতে গিয়ে আপাতত চরম সমস্যায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
ফরেনসিক বিভাগীয় প্রধান রাজীব প্রসাদ বলেন, “নির্দিষ্ট সময় পর দেহ সৎকারের দিকটি পুলিশের কাজ। দেহ জমছে। দেহকে মর্যাদা দিয়েই রাখতে হয়। এত দেহ রাখব কোথায়। গতকাল অবধি দেহ জমেছিল। তাই কিছু থানাকে আমরা বলেছি ময়নাতদন্তের পর দেহ নিয়ে যান। অন্য কোথাও রাখুন।” পাশাপাশি জমে থাকা দেহ সৎকারে পুলিশকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানান, মোট ১৬টি কুলার আছে মেডিক্যাল কলেজে। আর ৪০টি দেহ জমে আছে। কিছু দেহ সৎকারের কাজ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদী তিনি।