AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bad condition of Road: ‘দিদি সাইকেল দিয়েছেন, রাস্তাই নেই ছেলেরা চালাবে কোথায়?’ উত্তরে ‘শত্রু’ কে বললেন স্নেহাশিস

Arambag: মানা হাজরা নামে গ্রামের এক মহিলা বলেন, "দু'মাস ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। আর এইটাই আমাদের মেইন রাস্তা। সেখানে তার অবস্থা যদি এমন হয়...। শরীর খারাপ হলে বেরতে পারি না। আমাদের রাস্তা অবশ্যই দরকার। পার্টির লোক কোনও গ্রাহ্য করে না।

Bad condition of Road: 'দিদি সাইকেল দিয়েছেন, রাস্তাই নেই ছেলেরা চালাবে কোথায়?' উত্তরে 'শত্রু' কে বললেন স্নেহাশিস
রাস্তার হাল বেহাল Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2025 | 12:56 PM
Share

কলকাতা: বর্ষা এলেই যেন বেরিয়ে পড়ে রাস্তার আসল রূপ। কলকাতা থেকে জেলা সব একই ছবি। কোথাও গর্ত, কোথাও বা খানা-খন্দ। আরামবাগের মলয়পুর ২ পঞ্চায়েতের পূর্ব কেশবপুর গ্রামের একাংশ রাস্তার অবস্থা শোচনীয়। এক হাঁটু কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যাচ্ছে ছেলে-মেয়েরা। গ্রামবাসীদের সকলের একটাই বক্তব্য, “নেতাদের পাড়ায় রাস্তা হয়….।” যদিও , রাজ্যের মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলছেন, সরকারের উপর ভরসা রাখতে।

মানা হাজরা নামে গ্রামের এক মহিলা বলেন, “দু’মাস ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। আর এইটাই আমাদের মেইন রাস্তা। সেখানে তার অবস্থা যদি এমন হয়…। শরীর খারাপ হলে বেরতে পারি না। আমাদের রাস্তা অবশ্যই দরকার। পার্টির লোক কোনও গ্রাহ্য করে না। ওদের বাড়ি,গোলি সব জায়গাতেই রাস্তা। আমাদের বেলায় কিছুই নেই। ভোটের সময় ভোট চাইতে আসে আর এমনি সময় পাত্তা নেই।” আরও এক গ্রামবাসী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ এই রাস্তাটা যেন করে দেওয়া হয়। ছেলেটা স্কুলে যেতে পারে না, আমি ব্যবসার কাজে যেতে পারি না, এই রাস্তার জন্য প্রসূতি মহিলাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় না।” রিনা সাঁতরা নামে আরও এক মহিলা বলেন, “ছ’বছর ধরে রাস্তা হচ্ছে না। খালি বলে হ্যাঁ হয়ে যাবে। দিদি বলব রাস্তা করে দিন। দিদি তো সাইকেল দিয়েছেন। রাস্তাই নেই তো সাইকেলে চেপে যাবে কী ভাবে?

যদিও, রাজ্যের মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “বাংলার যদি একদম তৃণমূল স্তরে চলে যান দেখতে পাবেন, যে রাস্তাগুলি কাদা মাড়িয়ে যেতে হত সেখানে ঢালাই রাস্তা হয়েছে। আর পিচের রাস্তা তো খানিক ভেঙে যাবে। কারণ পিচের শত্রু হল জল। তাই কিছু-কিছু জায়গায় রাস্তার সমস্যা আছে। মানুষের দাবি এই সরকারই পূরণ করবে।

মূলত, পূর্ব কেশবপুরের হাজরাপাড়া, বাউরিপাড়ার মানুষজন ফুঁসছেন দুই কিলোমিটার বেহাল রাস্তার জন্য। ১০২ অ্যাম্বুলেন্স ও গ্রামে ঢোকে না নাম শুনেই। গ্রামের মানুষজনদের নিত্যদিন কাঁদাঘেটেই হাট-বাজার করতে হয়। এলাকার মানুষজন বলছেন ভোটের সময় সকলেই প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু রাস্তা হয়নি। যদিও এই রাস্তাটি নিয়ে জেলার শাসকনেতা তথা পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীও আশ্বাস রাখতে বলেছেন সরকারের উপর।