Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: কেউ আড়াল করছেন, কারোওবা প্রকাশ্যেই! ওঁদের চোখের জলের মর্ম বুঝছেন ঋণদাতারাও

Hooghly: সমিতির কাছে চাষিরা আপাতত একযোগে ঋণ মুকুবের আবেদন জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা বিমা কোম্পানীগুলির উদ্দেশ্যেও অনুরোধ করেন। তাঁদের কেউ ১ লক্ষ টাকা, কেউ ২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু যেভাবে একসঙ্গে দুটি ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাতে তাঁদের পক্ষে সংসার চালানোই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে

Hooghly: কেউ আড়াল করছেন, কারোওবা প্রকাশ্যেই! ওঁদের চোখের জলের মর্ম বুঝছেন ঋণদাতারাও
আলু ক্ষেতে চাষিরাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2023 | 11:30 AM

হুগলি: হাউ হাউ করে কাঁদছেন চাষিরা। কেউ প্রকাশ্যে চিৎকার করে, আবার কেউ আড়ালে, নিঃশব্দে। অকালবৃষ্টিতে ডুবে গিয়েছে পাকা ধান। চড়া দাম দিয়ে রাসায়নিক সার কিনে জমিতে ছড়িয়ে চাষের উপযুক্ত তৈরি করার পরও আলু জমি জলে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে আলু বীজ। অথচ লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে তাঁরা চাষ করেছিলেন। দুটি ফসলই একসঙ্গে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। হাহাকার চাষিদের পরিবারের। গোঘাটের ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডলগাঁথি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির সামনেও কান্নায় ভেঙে পড়লেন।

সমিতির কাছে চাষিরা আপাতত একযোগে ঋণ মুকুবের আবেদন জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা বিমা কোম্পানীগুলির উদ্দেশ্যেও অনুরোধ করেন। তাঁদের কেউ ১ লক্ষ টাকা, কেউ ২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু যেভাবে একসঙ্গে দুটি ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাতে তাঁদের পক্ষে সংসার চালানোই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। ঋণ পরিশোধ তো দূরের কথা। তাঁরা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, সরকার ও বীমা কোম্পানিগুলি যদি তাঁদের পাশে না দাঁড়ান, তাহলে তাঁদের কাছে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।  এক চাষি বলেন, “প্রত্যেক বছরই ঋণ নিয়ে চাষ করি। এবছরের অসময়ের বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। ঋণ শোধ কীভাবে করব, সেটা মাথায় আসছে না।”

অন্যদিকে সমবায় সমিতির ম্যানেজার চাষিদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। সমবায় সমিতির তরফে প্রতিনিধি মাঠে এসে গোটা বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে গিয়েছেন। তাঁরা ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছেন। বিষয়টি  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন সমবায় সমিতির ম্যানেজার। তাঁর বক্তব্য, “পরিস্থিতি যে সঙ্কটজনক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ মাঠে এখন জল জমে রয়েছে। ধান তো নষ্ট হয়েছেই। এই জল শুকোলে আলুর বীজও নষ্ট হয়ে যাবে। “