Sukanta Majumdar: ‘কল্যাণদা যদি খেলতে ডাকে তাহলে কর্মীদের বলছি ভাল করে খেলুন’, শ্রীরামপুর থেকে হুঙ্কার সুকান্তর
Sukanta attacks Kalyan: শাসকদলের বিরুদ্ধে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “ আগুনকে ভয় পাই না। পুলিশ না থাকলে ১৫ মিনিটে তৃণমূলের সব অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। ক্ষমতা থাকলে পুলিশ সরিয়ে এসো, দেখব কার কত ক্ষমতা।” ছাব্বিশে বিজেপিই আসছে ক্ষমতায়, এদিন এ কথাও বারবার শোনা গেল সুকান্তর মুখে।

শ্রীরামপুর: কল্যাণের চ্যালেঞ্জকে হেলায় উড়িয়ে দিয়ে শ্রীরামপুরে চলে গেলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৈদ্যবাটিতে যোগ দিলেন কর্মী সভায়। আর সেখানেই তোপের পর তোপ দাগলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে। হুঙ্কারের সুরে বললেন, “কল্য়াণদা যদি খেলতে ডাকে তাহলে আমি কর্মীদের বলে দিচ্ছি ভাল করে খেলুন।” তাহলে কী এবার ভোটের আগে নতুন খেলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি? সুকান্ত যদিও বলছেন, “আমাদের খেলতে ডাকলে আমরা খেলব। আমি খেলতে খুব ভালবাসি। কল্যাণদা কী খেলতে চায় সেটাই খেলব। চ্যালেঞ্জ আমি আগেই গ্রহণ করেছি। আমি তো শ্রীরামপুরেই দাঁড়িয়ে আছি। যে চ্যালেঞ্জ করেছিল সে ছুঁ কিতকিত করতে করতে ফুঁস হয়ে গিয়েছে।”
এদিন প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা নিজে বাইক চালিয়ে আসেন সুকান্ত। তা নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “কল্যাণদা হয়তো পরে একটা অজুহাত দেবে বলবে গাড়ির ভিতরে ছিল তাই কিছু করতে পারিনি। তাই গাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখলাম। আবহাওয়াটা দেখলাম কেমন। দেখলাম আবহাওয়ায় কল্যাণ নেই অকল্যাণ হয়ে গিয়েছে। ”
শুধু তাই নয়, শাসকদলের বিরুদ্ধে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “আগুনকে ভয় পাই না। পুলিশ না থাকলে ১৫ মিনিটে তৃণমূলের সব অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। ক্ষমতা থাকলে পুলিশ সরিয়ে এসো, দেখব কার কত ক্ষমতা।” ছাব্বিশে বিজেপিই আসছে ক্ষমতায়, এদিন সে কথাও বারবার শোনা গেল সুকান্তর মুখে। প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে তাঁর সংযোজন, “এবার দুর্গাপুুজোতে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীও দুর্গাপুজোয় মা দুর্গার আরাধানা করেছেন। আমার বিশ্বাস রামচন্দ্র যেভাবে দুর্গার আরাধনা করে রাবণ বধ করেছিলেন সেইভাবে নরেন্দ্র মোদীর আরাধনাতে তৃণমূল রাবণ বধ হবে। ছাব্বিশে এখানে বিজেপির সরকার তৈরি হবে।” যদিও খোঁচা দিয়ে কল্যাণ বলছেন, “হ্যাফ-প্যান্ট মন্ত্রী আবার মহিষাসুর বধ করতে যাবে। ওকেই তো বিজেপি বধ করে দিয়েছি বিজেপি। সভাপতি থেকে সরিয়ে দিয়েছে।”
