Toto in Bengal: ‘রেজিস্ট্রেশন না করলে বাতিল হবেই’, শুভেন্দুর ‘নিষেধের’ মধ্যেই টোটো নিয়ে জোরাল দাবি পরিবহন মন্ত্রীর
Transport Minister: স্নেহাশিসের সাফ কথা, “বাংলায় যত টোটো আছে তার একটি টোটোকেও আমরা বাতিল করছি না। কোনও মানুষের জীবন-জীবিকা বন্ধ হয়ে যাক আমরা চাই না। মুখ্যমন্ত্রীও চান না। কিন্তু আমি অনুরোধ করব ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত টোটোকেই নম্বর নিয়ে নিতে হবে।”

হুগলি: বিধানসভা ভোট পর্যন্ত টাকা দিয়ে টোটোর রেজিস্ট্রেশন করবেন না, স্পষ্ট কথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। রেজিস্ট্রেশনে আপত্তি নেই, কিন্তু টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন কেন? প্রশ্ন শুভেন্দু। ভোটের আগে টোটো নিয়ে রাজনীতির পারদ ক্রমেই চড়ছে। এদিকে সরকার বলছে ৩০ নম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন না করলে সেই টোটো বাতিল হবে। এদিন ফের একবার সেই কথা শোনা গেল পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর গলায়।
স্নেহাশিসের সাফ কথা, “বাংলায় যত টোটো আছে তার একটি টোটোকেও আমরা বাতিল করছি না। কোনও মানুষের জীবন-জীবিকা বন্ধ হয়ে যাক আমরা চাই না। মুখ্যমন্ত্রীও চান না। কিন্তু আমি অনুরোধ করব ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত টোটোকেই নম্বর নিয়ে নিতে হবে। কিন্তু ওটা যাঁরা নেবে না তাঁদের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আমরা বাতিল করব।” তবে টোটো সমস্যা নিয়ে ফের উদ্বেগের সুর ধরা পড়ল তাঁর গলায়। বললেন, “লক্ষ লক্ষ টোটো বাংলার বিভিন্ন শহরে নেমেছে। কিন্তু প্রত্যেকটা শহরের রাস্তার একটা নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতা আছে। তার বেশি গাড়ি চলতে থাকলে যানজট তৈরি হবেই। ট্রাফিকের একটা নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। তা মেনে চলা দরকার। কিন্তু টোটোগুলি সেগুলি মেনে চলে না। তাই তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতেই আমরা এই পন্থা নিয়েছি।”
বেঙ্গল ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শেখ নাসিরুদ্দিন যদিও সরকারের সুরেই সুর মিলিয়ে বলছেন, “রাজ্য সরকার টোটোর বিষয়ে যে পদক্ষেপ করছে তা ভাল। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম অনেক জায়গায় বেআইনিভাবে টোটো তৈরি হচ্ছে। যেগুলির কোন বৈধ কাগজ নেই। এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। কিন্তু এই রেজিস্ট্রেশন কীভাবে হবে সেই বিষয়ে সকলে অবগত নন। এ নিয়ে অনেক প্রচার করতে হবে।”
