Lata Mangeshkar: কাগজ-রঙে লতাদিদির ছবি দেওয়া হল না তাঁকেই! আফশোস যাচ্ছে না ব্যান্ডেলের শিল্পীর
Lata Mangeshkar: তপন সাহার ইচ্ছা ছিল মুম্বই যাবেন। লতা মঙ্গেশকরের কাছে নিজে পৌঁছে দিয়ে আসবেন এই ছবি।
হুগলি: সুরলোকে যাত্রা করলেন সুর সম্রাজ্ঞী। রবিবার বিকেলে মুম্বইয়ের শিবাজী পার্কে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar)। চোখের জলে তাঁকে বিদায় জানান আপামর ভারতবাসী। ‘লতাদিদি’র প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তাঁর ভক্তরা। এরকমই একজন ব্যান্ডেলের কোলাজ শিল্পী তপন সাহা। এদিন ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল থেকে লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণের খবর আশার পর থেকেই শোকসন্তপ্ত তপনবাবু। একইসঙ্গে মনের ভিতর ভীষণভাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে আফশোস। লতাদিদির কোলাজ বানানো হয়ে গেলেও তা আর তাঁর কাছে পৌঁছনো হোল না! কাগজ ছিঁড়ে বহু বিশিষ্ট মানুষের প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন তপনবাবু। সুচিত্রা সেন, উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, মান্না দে, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, পণ্ডিত রবিশঙ্কর, বিসমিল্লা খাঁ, ভীমসেন জোশির মতো ভারত ‘রত্ন’কে তুলে ধরেছেন তাঁর শিল্পকর্মে। সরস্বতীর মানসকন্যা লতা মঙ্গেশকরেরও একটি অল্প বয়সের ছবি কোলাজে ধরেছেন তপন সাহা।
দু’ মাস ধরে পরিশ্রম করে ছবিটি ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। তাও প্রায় পাঁচ বছর হতে চলল। তপন সাহার ইচ্ছা ছিল মুম্বই যাবেন। লতা মঙ্গেশকরের কাছে নিজে পৌঁছে দিয়ে আসবেন এই ছবি। এর জন্য ব্যবস্থাও করছিলেন। মুম্বই নিবাসী তাঁর এক বন্ধুর মাধ্যমে লতা মঙ্গেশকরের ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের সঙ্গে কথাও হয়। এর মধ্যে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় আর মুম্বই যাওয়া হয়নি তপনবাবুর। পরিকল্পনা ছিল, করোনা কাটিয়ে সমস্ত কিছু স্বাভাবিক হলে মুম্বই যাবেন।
লতা মঙ্গেশকরের হাতে দিয়ে আসবেন কোলাজটি। কিন্তু সেই ইচ্ছা আর পূরণ হল না তপন সাহার। রবিবারই ইহলোক ছেড়ে সুরলোকে পাড়ি দিলেন সকলের প্রিয় শিল্পী লতা মঙ্গেশকর। সকাল থেকেই টেলিভিশনের পর্দায় চোখ! সোশাল মিডিয়া স্ক্রল করলে শুধুই রঙিন লতার ভেসে ওঠা। তাঁর গানে দ্বেষ ভুলেছে দেশ। আবার তাঁর গানকে ঠোঁটে নিয়েই কত কত বসন্ত পার করেছে পলাশপ্রিয়ারা। এখনও পেরোয়…। আগামীতেও পেরোবে। যতদিন সা থেকে সা থাকবে, বসন্তের দূত থাকবে কোকিল, এ পৃথিবীতে প্রেম থাকবে, যতদিন দেশমাতার প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে প্রত্যেক ভারতীয়র মনে পাতা থাকবে তাঁর আসন।
তবু কোলাজ শিল্পী তপন সাহার আফশোস, যাঁর জন্য কাগজের কারসাজিতে ফুটিয়ে তুললেন শিল্পকর্ম তাঁকে আর দেওয়া হল না। তপন সাহা বলেন, “কাগজ দিয়ে রঙ ছাড়া রঙিন ছবি করি। বহু মানুষের ছবি বানিয়ে তাঁদের হাতে দিয়েছি। সে তৃপ্তিই পরম প্রাপ্তি। ভেবেছিলাম আমার দেশের সরস্বতীর হাতেও তুলে দেব আমার শ্রদ্ধা। কিন্তু সেটা আর হল না!”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা