Mithun on The bengal files: এতগুলো এফআইআর করলেন কেন, মানুষকে জানাবেন না? এবার মুখ খুললেন মিঠুন
Mithun Chakrobarty: বস্তুত, ছাব্বিশের ভোটের আগে যখন বাঙালি অস্মিতা ইস্যুতে সরব তৃণমূল। বারবার অভিযোগ তুলছে, বাঙালি নির্যাতন নিয়ে। সেই সময় দাঁড়িয়ে এই ছবির প্রচার কি আগামী ভোটে বিজেপির অস্ত্র? খোলা হাওয়ার ব্যনারে নির্মম ইতিহাস মনে করানোর চেষ্টা?

হুগলি: ‘দ্য বেঙ্গলস ফাইলস’ ছবি বাংলায় দেখানো নিয়ে কম বিতর্ক হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই এর ট্রেলার লঞ্চ ঘিরে শনিবার উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। ট্রেলার লঞ্চ করতে বাধার দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। আর এবার মুখ খোলেন এই সিনেমার অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
আজ শ্রীরামপুরে আসেন মিঠুন। তিনি বলেন, “এতগুলো এফআইআর হয়েছে। বাধা তো দেবেনই। এই জন্য বাধা দিচ্ছে,যে নোয়াখালি ম্যাসাকারটা করল কারা,সেগুলো সবাই জেনে যাবে। সেই জন্য বাধা দিচ্ছে।”
বস্তুত, ছাব্বিশের ভোটের আগে যখন বাঙালি অস্মিতা ইস্যুতে সরব তৃণমূল। বারবার অভিযোগ তুলছে, বাঙালি নির্যাতন নিয়ে। সেই সময় দাঁড়িয়ে এই ছবির প্রচার কি আগামী ভোটে বিজেপির অস্ত্র? খোলা হাওয়ার ব্যনারে নির্মম ইতিহাস মনে করানোর চেষ্টা? যদিও বিজেপি নেতা বলেন, “মেরুকরণের তাস বিজেপি কেন খেলতে যাবে। এটা তো নোয়াখালি ম্যাসাকারের উপর সিনেমা। এতগুলো এফআইআর করলেন কেন? মানুষকে জানাবেন না?”
বস্তুত, এর আগে ‘The Taskhent Files’, ‘The Kashmir Files’-এর মতো ছবি তৈরি করেছেন বিবেক। তবে এই ছবিটিতে নোয়াখালির অশান্তি নিয়ে তৈরি। যা হিন্দুহত্যা বলে দাবি করেছেন বিবেক। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, দর্শন কুমাররা।
তবে এই ছবিটিকে ভালভাবে নেয়নি তৃণমূল। আজ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “একে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বাংলা থেকে বের করে দেওয়া উচিত। এটা গণতান্ত্রিক রাজ্য বলে করা হচ্ছে। আর এটা সত্যজিত রায়ের বাংলায় এসে প্ররোচনামূলক, বিভেদ ছড়াতে লজ্জা করছে না? বিবেক অগ্নিহোত্রী আপনি আগে এমপি ফাইলস, মণিপুর ফাইলস, গুজরাট ফাইলস করে আসুন।” আবার বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ভারতবর্ষের গণতন্ত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অন্যতম স্তম্ভ। পশ্চিমবঙ্গে একটা সিনেমা কেন করা যাবে না? কেন একটা ট্রেলার দেখানো যাবে না? সত্যকে কি এভাবে চাপা দিয়ে রাখা যায়? আজ সেই ১৬ অগস্ট ১৯৪৬ সালে যেদিন সুরাবর্দি ডাইরেক্ট অ্যাকশনের ডাক দিয়েছিল। ৪০ হাজার হিন্দু বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই সত্যের উপর তৈরি করা সেই ছবি যদি আজকে দেখানো হয় তাহলে তাতে ভয় পাচ্ছে কেন এই রাজ্যের শাসকদল? বোঝাই যাচ্ছে এই ভয় তাঁদের পরাজয়ের ভয়।”

