Twaha on Taslima: ‘ঘেন্না করি, ঘেন্না করি…’, তসলিমা বাংলায় এলে এই তিনটি জিনিসের মধ্যে একটা করবেন ত্বহা সিদ্দিকি
Twaha on Taslima: সোমবার সংসদে শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, উপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়ে তলসিমাকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনা উচিত। তলসিমা বাংলায় থাকতে চান বলে মন্তব্য করেন শমীক।

হুগলি: চরম বিতর্ক আর বিক্ষোভের মুখে পড়ে কলকাতা ছাড়তে হয়েছিল তসলিমা নাসরিনকে। আর কখনও কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে আসা হয়নি বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকার। বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন তিনি। ২০০৭ সালের সেই নভেম্বর মাসের পর ১৮ বছর কেটে গিয়েছে। এবার তাঁকে রাজ্যে ফেরানোর পক্ষে সওয়াল করছে বিজেপি। বিজেপির সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তসলিমাও। তবে তসলিমাকে নিয়ে যে প্রবল আপত্তি আছে, তা স্পষ্ট করে দিলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি।
সোমবার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য সংসদে আর্জি জানিয়েছেন, নিরাপত্তা দিয়ে কলকাতায় ফেরাতে হবে তসলিমাকে। তিনি বলেছেন, “বাংলায় এসে, বাংলায় লিখতে চান তসলিমা।” লেখিকা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই খবর শেয়ার করে লিখেছেন, বিজেপি সাংসদ তাঁর মনের কথাই বলেছেন। TV9 বাংলাকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তসলিমা বলেন, “বাংলায় ফিরতে ইচ্ছে করে। আমার বাংলায় না যাওয়ার কোনও কারণ নেই। তাও আমি যেতে পারি না। শমীক বাবু বুঝেছেন, আমার বাংলায় থাকা দরকার। বাংলায় লিখতে গেলে বাংলায় যাওয়া জরুরি।”
বিজেপির এই উদ্যোগের কথা শুনে ত্বহা সিদ্দিকি স্পষ্ট জানান, ইসলামের ধর্মগুরু সম্পর্কে তসলিমা যে মন্তব্য করেছেন, তা তিনি কখনই মানতে পারবেন না। লেখিকার প্রতি তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ত্বহা বলেন, “বিজেপি একে একে বিভিন্ন ইস্য়ু সামনে আনছে। এটাই ওই দলের সংস্কৃতি। তসলিমা এমন ভাষা ব্যবহার করেছেন, যা মেনে নেব না।” তিনি আরও বলেন, “বাংলার সরকারকে অনুরোধ, তসলিমাকে নিয়ে এসে রাজনীতির খেলা যেন না হয়। বাংলা যেন উত্তপ্ত না হয়। উত্তপ্ত করার জন্যই নিয়ে আসা হচ্ছে।”
তসলিমা এলে কী করবেন, এই প্রশ্নের উত্তরে ত্বহা বলেন, “আইন আমরা নিজের হাতে তুলে নেব না। ইসলামে তিনটি বিষের কথা বলা আছে। প্রথমে বোঝাও, না বুঝলে তারপর মারধর কর, মারধর করতে অসুবিধা থাকলে মুখে বল। আর তৃতীয়টি হল, অন্তর থেকে ঘেন্না কর। তিনটের মধ্যে একটা আমরা করব। অন্তর থেকে ঘেন্নাটাই করব।” সব শেষে পীরজাদা বলেন, “তসলিমাকে ঘেন্না করি… ঘেন্না করি। অন্য় কোনও ধর্মের ধর্মগুরু সম্পর্কে এমনটা বললেন কি কেউ মেনে নিতেন!”





