Uluberia: প্রসূতির অস্ত্রোপচারের মধ্যেই অ্যাসিড দিয়ে পরিষ্কার! হাড়হিম ছবি মেডিক্যালে
Uluberia: মেদিনীপুরের প্রসূতি মৃত্যুতে প্রথম থেকেই স্যালাইন বিভ্রাটের তত্ত্ব উঠে আসছিল। তারপর মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, মেদিনীপুর মেডিক্যালে OT প্রোটোকল মানা হয়নি। তারপরও উলুবেড়িয়ায় কীভাবে এই চিত্র?
উলুবেড়িয়া: মেদিনীপুরে সংক্রমণের জেরে প্রসূতি মৃত্যুর মধ্যে উলুবেড়িয়ার হাসপাতালে OT-তে ভয়ঙ্কর ছবি। একদিকে যখন চলছে প্রসূতির অস্ত্রোপচার, স্ট্রেচারে শুয়ে রোগী, ঠিক তখনই মিউরিয়াটিক অ্যাসিড দিয়ে মোছা হচ্ছে ঘরের মেঝে। এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়, অ্যাসিডের ঝাঁঝেই কাশি শুরু হয় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের। জানা যাচ্ছে, ড্রাগ কর্নারের নীচে কাদা ছিল, আর টেবিলে শুয়ে রোগী! ভয়ঙ্কর ছবি উলুবেড়িয়ার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। রোগীর শরীরে সংক্রমণ ছড়ালে দায় নেবে কে? উলুবেড়িয়া মেডিক্যালের এই চিত্রে প্রশ্নের মুখে ওটি প্রোটোকল। সাফাই চলাকালীন কীভাবে চিকিৎসকরাও বা অস্ত্রোপচার করছেন, উঠছে সে প্রশ্নও।
মেদিনীপুরের প্রসূতি মৃত্যুতে প্রথম থেকেই স্যালাইন বিভ্রাটের তত্ত্ব উঠে আসছিল। তারপর মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, মেদিনীপুর মেডিক্যালে OT প্রোটোকল মানা হয়নি। তারপরও উলুবেড়িয়ায় কীভাবে এই চিত্র? নবান্নেই সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেছিলেন, “সিজারের সময়ে একটা প্রোটোকল সার্জারিতে মানার প্রয়োজন রয়েছে। সেটা মেদিনীপুরে মানা হয়নি। এটাকে গাফিলতি হিসাবেই ধরা হচ্ছে।”
মেদিনীপুরের প্রসূতির মৃত্যু যে সংক্রমণের কারণেই হয়েছিল, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে। সেপটিক শকেই মৃত্যু! কিন্তু উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভয়ঙ্কর ছবি।
চিকিৎসক যখন প্রসূতির অস্ত্রোপচার করছিল, তখন মিউরিয়াটিক অ্যাসিডের ঝাঁঝ গোটা OT রুমে ছড়িয়ে পড়ে। জানা যাচ্ছে, OT করতে করতেই চিকিৎসক কাশতে শুরু করেন। ওষুধ যেখানে রাখা থাকে, অর্থাৎ ড্রাগ কর্নারের নীচে থক থক করে কাদামাটি!
এ প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতে বলেন, “২০২৩-২৪ এই সময়টার মধ্যে মেটার্নাল ডেথ হয়েছে। একই ধরনের সমস্যা। প্রেগন্যান্সি, তারপর কিডনির সমস্যা, তারপর হিমোলাইসিস, কোয়াগুলাপ্যাথি, শক তারপরই মৃত্যু। স্বাস্থ্যভবনের ভূমিকা কী? ওটি-গুলোর কী অবস্থা?”
বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত। ঠিক করার কোনও প্রচেষ্টাও নেই।”