Bansanti: ‘ওরা সেদিন থেকে আমার সঙ্গে অভিনয় করে গেল…’, বাসন্তীতে আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় বিস্ফোরক মা
Bansanti: সারারাত ধরে খোঁজাখুঁজি করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। নাবালিকার মা বলেন, "ওই লোকটার কাছে যখন গিয়েছি জিজ্ঞাসা করতে, তখন বারবার আমাদের সঙ্গে অভিনয় করে গিয়েছে।"
বাসন্তী: আরজি করের রায়দিনের দিন বাংলায় আরও এক নক্কারজনক ঘটনা। বাসন্তীতে এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ১২ দিন ধর নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা। পরে ক্ষেত থেকে তার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধারে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যেই তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
নাবালিকার মা দাবি করেন, এলাকারই এক ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে ঘরের থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তাঁর কথায়, “ও চোদ্দোবার করে ডাকছিল। আমি জিজ্ঞাসাও করলাম। তারপর মেয়ের আমার কাছে চুপ করে দাঁড়িয়েছিল। খাবার খাওয়ার জন্য টাকা চাইছিল। আমার মেয়ে তারপর আমাকে বলে গেল, দিদিকে ডাকতে যাচ্ছি। বড় মেয়ে বাড়ি চলেও এল। ও বলল, বোন ওই লোকটার সঙ্গে কথা বলছি।” ওই লোকটার সঙ্গেই শেষবারের জন্য মেয়েকে দেখা গিয়ছিল।
সারারাত ধরে খোঁজাখুঁজি করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। নাবালিকার মা বলেন, “ওই লোকটার কাছে যখন গিয়েছি জিজ্ঞাসা করতে, তখন বারবার আমাদের সঙ্গে অভিনয় করে গিয়েছে।”
রাতেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন নাবালিকার মা। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দানা বাঁধে, যখন নাবালিকার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয় ক্ষেতের মধ্যে থেকে। কেন ১২ দিনে পুলিশ খুঁজে পেল না নাবালিকাকে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন আগে থেকে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সোমবার গোটা বাংলার নজর যখন আরজি করের রায়ের দিকে, তখনই বাসন্তীতে ঘটে গেল আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা।