Karma Tirtha: বালিতে কর্মতীর্থ প্রকল্পের তৈরি বাড়ির ছাদ এখন ‘প্রিয় জায়গা’ মদ্যপদের
Karma Tirtha: এর মধ্যে আবার অভয়নগরে বাজারে অবস্থিত মুখ্যমন্ত্রীর কর্মতীর্থ প্রকল্পের চেহারা কার্যত শিউরে ওঠার মতো। তিনতলা বাড়ির নিচের তলায় রোজই বাজার বসে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দোকান ঘরে রয়েছে যা দেখলেই মনে হয় দীর্ঘদিন তালা বন্ধ।
হাওড়া: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘কর্মতীর্থ’। এখন সেখানেই কোথাও রয়েছে আবর্জনার স্তুপ। কোথাও আবার দিনের বেলা বাজার বসলেও, রাতে বসে মদের আসর। এই চিত্রই দেখা গেল হাওড়া সদরে। হাওড়ার জগৎবল্লভপুর ব্লক হোক বা ডোমজুড়ের বাঁকড়া কিংবা বালি-জগাছার দুর্গাপুর অভয়নগর দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কর্মতীর্থর চিত্রটা কম বেশি এমনই।
এর মধ্যে আবার অভয়নগরে বাজারে অবস্থিত মুখ্যমন্ত্রীর কর্মতীর্থ প্রকল্পের চেহারা কার্যত শিউরে ওঠার মতো। তিনতলা বাড়ির নিচের তলায় রোজই বাজার বসে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দোকান ঘরে রয়েছে যা দেখলেই মনে হয় দীর্ঘদিন তালা বন্ধ। আর দোতলা ফাঁকা। যে দু’টি ঘর রয়েছে তাতেও তালা বন্ধ দীর্ঘদিন। বাকি অংশ ফাঁকাই রয়েছে। অভিযোগ, বড় ছাদে নিয়মিত বসে মদের আসর। যার নমুনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মদের বোতল ও গ্লাস। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি পঞ্চায়েত প্রধান। বালি-জগাছার বিডিও কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। তাঁর বক্তব্য এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেনই না।
যদিও বিরোধী দল বিজেপি নেতা অশোক সিংহ বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রচুর স্বপ্ন দেখেন আর তার স্বপ্নেরই নমুনা এটাই। রাজ্য জুড়েই চলছে মদের আসর।অন্য দিকে টাকা খাচ্ছে শাসক দলের নেতৃত্বরা।রাজ্যে কর্মসংস্থানের অবস্থাও মুখ্যমন্ত্রী দেখানো দিবা স্বপেনের মতোই। যেখানে কর্মহীন যুবক যুবতীদের স্বপ্নের প্রকল্পের অপব্যবহার করে চলেছে তৃণমূল। এইসব প্রকল্পের দিনের পরদিন নানান অসামাজিক কাজকর্মে ক্ষুদ্র এলাকাবাসীও।
কর্মতীর্থ প্রকল্প কী?
প্রায় আট বছর আগে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল ‘কর্মতীর্থ’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের লক্ষ্যই হল, একাধিক দোকান বিশিষ্ট আধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত একটি বিপণি তৈরি করা। পরে, দোকানঘরগুলিকে এলাকার বেকার যুবকদের মধ্যে বিলি করা, যাতে তাঁরা ব্যবসা করে রোজগার করতে পারেন।