Pulak Roy: ‘সুব্রতদার’ চেয়ারে উলুবেড়িয়ার বিধায়ক, জানুন মমতার সেই আস্থাভাজন পুলক-পরিচিতি

MLA Pulak Roy: জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের মন্ত্রী হলেও হেভিওয়েট নেতা বলতে যা বোঝায়, তেমনটা নন পুলক। তবু কেন তাঁকে দেওয়া হল এমন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর? পুলকবাবুর রাজনৈতিক সফরই বা কেমন?

Pulak Roy: 'সুব্রতদার' চেয়ারে উলুবেড়িয়ার বিধায়ক, জানুন মমতার সেই আস্থাভাজন পুলক-পরিচিতি
অংকরণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2021 | 9:35 PM

হাওড়া: সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) প্রয়াণের পর পঞ্চায়েত দফতর কার হাতে দেওয়া হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বড়সড় জল্পনা। পঞ্চায়েতের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর দীর্ঘদিন ধরে সাফল্যের সঙ্গে সামলেছেন সুব্রতবাবু। কিন্তু তাঁর অবর্তমানে এই মন্ত্রিত্ব কে সামলাবেন, এ নিয়ে প্রশ্নটা উঠছিলই। অবশেষে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, পঞ্চায়েত মন্ত্রীর ভার সামলাবেন পুলক রায় (Pulak Roy)। জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের মন্ত্রী হলেও হেভিওয়েট নেতা বলতে যা বোঝায়, তেমনটা নন পুলক। তবু কেন তাঁকে দেওয়া হল এমন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর? পুলকবাবুর রাজনৈতিক সফরই বা কেমন?

একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে হাওড়ার উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে জয় পান পুলকবাবু। তাঁর জয়ের মার্জিন ছিল ২৮, ৪৩৮। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন অভিনেতা পাপিয়া অধিকারী। তাঁকে হেলায় হারিয়ে পুলক রায় পেয়েছিলেন মোট ১ লক্ষ ১ হাজার ৮৮০ টি ভোট। মোট ৫০.৩৭ ভোট পান তিনি। এহেন পুলক রায়কে এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন যোগ হল আরেকটা দফতর। তাঁকে সুব্রতবাবুর অবর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত মন্ত্রী করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজনীতির আঙিনায় পুলকের প্রবেশ সেই ছাত্রাবস্থায়। ছাত্র রাজনীতিতে হাতেখড়ি হওয়া উলুবেরিয়া দক্ষিণের এই নেতা এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। একুশের বিধানসভা ভোটের মুখে গোষ্ঠীকোন্দলের সমস্যায় ভোগা তৃণমূলে পুলকবাবুর ভূমিকা ছিল অনন্য। কারণ, হাওড়া গ্রামীণের তৃণমূল সভাপতির ছত্রছায়া দলীয় কোন্দল একেবারেই দানা বাঁধতে পারেনি। ভাঙন ধরাতে পারেনি বিরোধী শিবির। বরাবরই সকলকে নিয়ে চলতে পারেন এই নেতা।

এক সময়ে জাতীয় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদ করতেন পুলক রায়। সেই থেকেই এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। পরবর্তীকালে পশ্চিমবাংলায় পট পরিবর্তনের পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। পান ভোটে লড়ার টিকিটও। ২০১১ সালে উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্র থেকেই প্রথমবার বিধায়ক হন তিনি।

একজন পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদ হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন পুলক রায়। দল যখন যেভাবে তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছে সাফল্যের সঙ্গে সামলেছেন সেই ভার।  মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার সহজাত ক্ষমতা তাঁর। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রীরও পছন্দের তিনি। দলের ‘এক পদ’ নীতি মেনে গত অগস্ট মাসে হাওড়া গ্রামীণের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও এলাকায় ভাল কাজের জন্য সেই পুলককে পঞ্চায়েত মন্ত্রীরও দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

ঘনিষ্ঠ মহলে মন্ত্রী জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থার প্রতি তিনি সুবিচার করবেনই। সুব্রত বাবুর ছেড়ে যাওয়া মন্ত্রী পদের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়াটা বিশেষ সম্মানের বলে মনে করছেন তিনি। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে। দায়িত্ব যে বিশাল তা মানছেন পুলকবাবু নিজেও।

আরও পড়ুন: Bengal Cabinet: মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল, পঞ্চায়েতে পুলক রায়, অর্থ দফতর থাকছে মমতার হাতে