Anupam Hazra: ‘তৃণমূলের বলা কথাই প্রকাশ্যে বলছেন বিজেপির অনুপম’, খোঁচা শশী পাঁজার

Anupam Hazra: সোমবার হাওড়ার সালকিয়ার বাধাঘাটে এক সভা থেকে শশী পাঁজা বলেন, এতদিন তো আমরাই বলতাম সিবিআই এবং ইডিকে দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে।

Anupam Hazra: 'তৃণমূলের বলা কথাই প্রকাশ্যে বলছেন বিজেপির অনুপম', খোঁচা শশী পাঁজার
বিজেপিকে শশী পাঁজার আক্রমণ Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2023 | 2:05 AM

হাওড়া: আক্রমণের হাতিয়ার কার্যত বিরোধী দলের হাতে তুলে দিয়েছেন বিজেপি নেতা। ইডি-সিবিআই-এর তদন্তে আওতায় না পড়তে চাইলে যোগ দিতে হবে বিজেপিতে। বীরভূমের লাভপুরের সভা থেকে এমন বার্তা দিয়ে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অনুপম হাজরা। তৃণমূল বরাবরই দাবি করেছে এসেছে, ইডি-সিবিআই আসলে বিরোধীদের হেনস্থা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। তাই বিজেপিকে ওয়াশিং মেশিন তকমা দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এবার অনুপম হাজরার বক্তব্যের পর আরও কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের নেত্রী শশী পাঁজা।

সোমবার হাওড়ার সালকিয়ার বাধাঘাটে এক সভা থেকে শশী পাঁজা বলেন, “এতদিন তো আমরাই বলতাম সিবিআই এবং ইডিকে দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে। ওই দুই সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। আজ তারাই প্রকাশ্যে সে কথা স্বীকার করে নিচ্ছে।” তিনি উল্লেখ করেছেন, ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি ডাকছে। তাঁর দাবি, ওটা আসলে ওয়াশিং মেশিন। বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে গেলে সিবিআই আর ইডি থেকে ছাড় পাওয়া যাবে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, নারদ মামলায় তিনজন মন্ত্রীর জেল হলেও শুভেন্দু অধিকারীকে ডাকা হয়নি।

এদিন লাভপুরের সভা থেকে অনুপম বলেছেন, “যদি কেউ ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে চান, তাহলে এখনই চুরি করা ছেড়ে দিন। আর আমার ফেসবুক পেজে গিয়ে সদস্য হওয়ার নম্বর নিয়ে মিসড কল দিন। সামনে এসে বিজেপিতে যোগ দিতে লজ্জা করলে, এভাবে যোগ দিন।” তাঁর এই মন্তব্যের সমালোচনা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরেই। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপি কোনও সংশোধনাগার নয়, কোনও কোঠাবাড়িও নয় যে যার যখন ইচ্ছা চলে আসবে। আর বিজেপিও কোনও দালালকে দায়িত্ব দেয়নি দলে নিয়ে আসার।” দলের রাজ্য মুখপাত্রের এই মন্তব্যের পর টুইটারে ফের কটাক্ষ ছুড়ে দেন অনুপম। দলের একজন রাজ্য মুখপাত্রের কোনও কেন্দ্রীয় সম্পাদকের মন্তব্যের উপর টিপ্পনী কাটার এক্তিয়ার রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিজেপির অন্দরের এই টানাপোড়েনের মধ্যেই অনুপমের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে তৃণমূল। এর রেশ কতদূর গড়ায়, সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।