Fact Finding Team: NIA দিয়ে তদন্ত করা উচিত, হাওড়া-রিষড়ার অশান্তি নিয়ে বলল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম
Rishra: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের মতে, পুলিশ সচেতন থাকলে এমনটা হতো না। এটা পূর্ব পরিকল্পনা ছিল, পুলিশ এলাকা ছেড়ে দিয়েছিল বলেও দাবি করেন তাঁরা।
হাওড়া: হাওড়া-রিষড়া কাণ্ডে (Howrah-Rishra) ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি অন হিউমান রাইটস ভায়োলেশন’-এর সদস্যরা এসেছিলেন রাজ্যে। দিল্লি থেকে একটি দল আসে বাংলায়। দু’দিন হাওড়া ও রিষড়ায় ঘোরার পর রবিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে তারা। সেখানে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা জানান, হাওড়া ও বেশ কিছু জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাঁদের আটকে দিয়েছে। ১-২ জনকে যাওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। সেই সব জায়গার বেশ কিছু লোকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। টিমের সদস্যদের দাবি, যা তাঁরা শুনেছেন, তা লজ্জাজনক। পুলিশ মোতায়েন হলেও ঘটনার সময় পুলিশ ছিল না বলে দাবি তাঁদের। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিরক্ত এই দল। তাদের মতে, প্রশাসন ‘আমি-তুমি’ করেছে। এইসব এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার আবেদন জানায় তারা। একইসঙ্গে NIA দিয়ে তদন্ত করা উচিত বলেও মন্তব্য করে।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের মতে, পুলিশ সচেতন থাকলে এমনটা হতো না। এটা পূর্ব পরিকল্পনা ছিল, পুলিশ এলাকা ছেড়ে দিয়েছিল বলেও দাবি করেন তাঁরা। এই টিমের সদস্যদের বক্তব্যের প্রতি ছত্রে চাঞ্চল্যকর দাবি। তাঁরা বলেন, “পুলিশ বলছে সিপি নেই, যেমন বাচ্চারা বলে বাবা বাড়িতে নেই। পুলিশ রাজনৈতিক দলের মত কাজ করছে।” প্রসঙ্গত, শনিবার হুগলির রিষড়ার পর রবিবার হাওড়ায় যেতে বাধা দেওয়া হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে। শিবপুরে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা বলে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আটকে দেয় পুলিশ।
এ নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “হাওড়া এবং রিষড়ার ঘটনা পুলিশ চাইলেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। তারা করতে পারছে না দেখে, সেনাবাহিনীকে ডাকতে পারত। সত্য যাতে সামনে না আসে তার জন্য সবাইকে আটকাচ্ছে।” পাল্টা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির এই পরিদর্শন নিয়ে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “পুলিশ ঢুকতে দেয়নি বেশ করেছে। রামনবমী থেকে পরিস্থিতি জটিল করেছে বিজেপি। মুঙ্গের গ্যাংকে ব্যবহার করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছে বিজেপি। এখন আবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছে। ওনাদের মুঙ্গেরে পাঠান, ফ্যাক্ট তো ওখানে। বিজেপিশাসিত রাজ্যে কিছু হলে তো তৃণমূল সাংসদদের বিমানবন্দরে আটকায়। শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘেও জানান ওনারা।”
তবে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই টিমকে রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন। এই প্রতিনিধিদলকে ‘বিজেপির ঘোমটা’ বলেন তিনি। রবিবার ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জগদীশপুরে দলীয় কর্মী সভায় এসে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল বিজেপিরই একটা ঘোমটা। এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল কোনও সাংবিধানিক কাঠামোতে তৈরি হয়নি, তাই এর কোনও অধিকার নেই।