Howrah News: কারখানার সামনে নর্দমায় যুবকের মৃতদেহ, এলাকায় চাঞ্চল্য
কারখানার পাশেই একটি নর্দমা থেকে উদ্ধার হল শ্রমিকের ক্ষতবিক্ষত দেহ।
হাওড়া: রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল এক কারখানার শ্রমিকের (Labour)। কারখানার পাশেই একটি নর্দমা থেকে উদ্ধার হল তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) দাশনগর থানার বালিটিকুরি কালীতলা এলাকায়। নর্দমায় পড়ে গিয়ে যুবকের মৃত্যু হয়েছে নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। ঘটনার তদন্তে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মৃত শ্রমিকের নাম রাজারাম পাসোয়ান (২৬)। আদতে বিহারের বাসিন্দা রাজারাম বালিটিকুরি কালীতলা এলাকায় একটি কারখানায় কাজ করতেন। ওই কারখানাতেই থাকতেন তিনি। শনিবার গভীর রাতে ওই কারখানার সামনেই গলির ভিতর একটি নর্দমা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। যুবকের মুখে ও চোখের কাছে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোররাতে এলাকাবাসীই প্রথমে কালীতলায় নর্দমার পাশে রাজারাম পাসোয়ানের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তারপর ঘটনাটি কারখানার শ্রমিকদেরও নজরে আসে এবং তাঁরাই দাশনগর থানায় খবর দেন। তারপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজারাম কারখানার তিনতলা থেকে কোনওভাবে পড়ে গিয়েছেন। আশপাশের লোকজনও রাতে উপর থেকে ভারী কিছু একটা পড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি মানতে নারাজ রাজারামের পরিবার। রাজারামকে মেরে নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তুলে তাঁরা বলেন, উপর থেকে পড়লে হাত-পা ভাঙতে বা মাথায় চোট পেত রাজারাম। কিন্তু শরীরের কোথাও সেরকম চোট নেই। শুধু মুখে-চোখের কাছে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজারাম পাসোয়ান মাস তিনেক আগেই বালিটিকুরির ওই কারখানায় কাজ শুরু করেন। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে বালিটিকুরির এই কারখানাটি কলকাতায় ছিল। তখন সেখানেই কাজ করতেন রাজারাম। সম্প্রতি হাওড়ায় কাজ করতে শুরু করেছিলেন তিনি। রাজারামের দাদা-সহ পরিবারের অনেক সদস্যই কলকাতায় দিনমজুর হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেন। ফলে তাঁরা অনেকেই কলকাতায় থাকেন। শনিবার রাতে রাজারামের মৃত্যুর খবর পেয়েই তাঁরা বালিটিকুরিতে ছুটে আসেন। বিহারে রাজারামের বাড়িতেও খবর দেয় পুলিশ।
রাজারামের মৃত্যুর প্রকৃত তদন্তের দাবি তুলেছে তাঁর পরিবার। যদিও রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দাশনগর থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, কীভাবে রাজারাম পাসোয়ানের মৃত্যু হল তা জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।