C. V Anand Bose at Delhi Church: ইস্টার সানডে-তে দিল্লির গির্জায় গিয়ে ‘আশা ও শান্তি’র বার্তা বাংলার রাজ্যপালের
যিশুখ্রিষ্ট 'পুনরুত্থানের প্রতীক' জানিয়ে রাজ্যপাল বলেন, "যদি ক্রুশবিদ্ধ হন, আবার পুনরুত্থান ঘটবে।"
নয়া দিল্লি: রবিবার (৯ এপ্রিল), ইস্টার সানডে (Easter Sunday)। বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘আশা ও শান্তির’ বার্তা দিয়ে নয়া দিল্লির ‘সেক্রেড হার্ট ক্যাথিড্রাল ক্যাথলিক চার্চ’ পরিদর্শনে যান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ডা. সি.ভি আনন্দ বোস। ক্যাথিড্রাল ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পাদ্রি এবং বিশপ অনীল জোসেফ থমাস কৌচোর সঙ্গে যিশুর মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে করজোড়ে প্রার্থনা করেন তিনি। তারপর ওই গির্জায় উপস্থিত অন্যান্যদের সঙ্গে কথাও বলেন বাংলার রাজ্যপাল (C. V Anand Bose)।
ইস্টার দিবসে ‘সেক্রেড হার্ট ক্যাথিড্রাল ক্যাথলিক চার্চ’-এ গিয়ে সমস্ত মানব জাতিকে আশার বার্তা দিয়ে শুভকামনা জানান রাজ্যপাল ডা. সি.ভি আনন্দ বোস। যিশুখ্রিষ্ট ‘পুনরুত্থানের প্রতীক’ জানিয়ে তিনি বলেন, “যদি ক্রুশবিদ্ধ হন, আবার পুনরুত্থান ঘটবে।”
প্রসঙ্গত, খ্রিস্টান ধর্মমতে এই দিনেই যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান ঘটেছিল। ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার পরও বেঁচে উঠেছিলেন তিনি। সেই দিনটিকে স্মরণ করার জন্যই পালন করা হয় ইস্টার সানডে। তাই এদিন নয়া দিল্লির সেক্রেড হার্ট ক্যাথিড্রাল ক্যাথলিক চার্চে গিয়ে সেকথাই তুলে ধরেন রাজ্যপাল। যিশুর মূর্তির সামনে করজোড়ে, নতজানু হয়ে প্রার্থনার পর ওই গির্জায় উপস্থিত খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী অন্যান্যদের সঙ্গে কথাও বলেন রাজ্যপাল। ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই সবকিছু হয় জানিয়ে যিশুকে স্মরণ করে সি.ভি আনন্দ বোস বলেন, ” তাঁকে ছাড়া আমি ব্যর্থ হতে পারি না, তাঁকে ছাড়া আমি সফল হতেও পারি না।”
উল্লেখ্য, এদিন ‘ইস্টার সানডে’ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও নয়া দিল্লির ‘সেক্রেড হার্ট ক্যাথিড্রাল ক্যাথলিক চার্চ’ পরিদর্শনে যান এবং সেখান থেকেই সারা বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীকেও চার্চের বিশপ সহ পাদ্রিদের সঙ্গে ‘সেক্রেড হার্ট ক্যাথিড্রাল ক্যাথলিক চার্চ’-এ প্রার্থনা করতে দেখা যায় এবং যিশুর মূর্তির সামনে মোমবাতি জ্বালান। স্তোত্রপাঠ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি চার্চেই বসেছিলেন। সেক্রেড হার্ট ক্যাথিড্রাল ক্যাথলিক চার্চের পাদ্রিদের মতে, এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁদের চার্চে পা রাখলেন। তাই চার্চের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে যিশুর স্মারক মূর্তি উপহার দেওয়া হয়। এরপর গির্জা চত্বরে একটি গাছও লাগান প্রধানমন্ত্রী। পাদ্রিরা আরও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের গাছের যত্ন নিতে এবং জল বাঁচাতে ‘ড্রিপ ইরিগেশন’ পদ্ধতি প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন। এই পদ্ধতিটি তাঁদের জানা ছিল না বলেও জানিয়েছেন পাদ্রিরা।