Soumen Mahapatra: ‘আরও এরকম ইস্তফা হবে, গণ ইস্তফা’, বিজেপিকে খোঁচা সৌমেন মহাপাত্রর
Purba Medinipur: শনিবার নন্দীগ্রাম-৪ মণ্ডলে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি চন্দ্রকান্ত মণ্ডল, সহ সভাপতি তারক প্রামাণিক, ১৯ জন পদাধিকারী পদ ছাড়েন।
নন্দীগ্রাম: একদিন আগেই নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিজেপির মণ্ডল সভাপতি পদত্যাগ করেন। সঙ্গে দলের আরও কয়েকজন নেতা। তাঁরা হুঁশিয়ারি দেন, সুরাহা না হলে বড়সড় আন্দোলনের পথে নামবেন। বিজেপির অন্দরের এই বিড়ম্বনাকেই হাতিয়ার করে কটাক্ষের বাণ শানালেন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। রবিবার হলদিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে হলদিয়ার মঞ্জুশ্রীতে কুমারচন্দ্র জানা অডিটোরিয়ামে কর্মী সম্মেলন ছিল। সেখানেই সৌমেন মহাপাত্রকে বলতে শোনা যায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলাপরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি দখল নিয়ে স্বপ্ন দেখছে রাজ্যের বিরোধী দল।
সামনেই রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট যেমন রয়েছে, একইসঙ্গে রয়েছে হলদিয়ার পুরনির্বাচনও। ২০১৭ সালে এই পুরসভার সবক’টি আসনেই জয় পায় তৃণমূল। তবে এবারের লড়াই শাসকদলের ‘প্রেস্টিজ ফাইট’। সেই নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের আরও চাঙ্গা করতে রবিবার কর্মী সম্মেলন হয় হলদিয়ায়। সেখানে ছিলেন সৌমেন মহাপাত্র।
এই সম্মেলন থেকে কর্মীদের একজোট হয়ে লড়াই করে হলদিয়া পুরসভার ২৯ টি আসনেই জয় ছিনিয়ে আনার বার্তা দেন তিনি। আর সেখানেই নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতার ইস্তফা নিয়ে বলেন সৌমেন মহাপাত্র। বলেন, “এই ইস্তফাটা নতুন নয়। ধীরে ধীরে পঞ্চায়েতের আগে আরও এরকম ইস্তফা হবে। সেটা গণ ইস্তফাই হবে।”
প্রসঙ্গত, শনিবার নন্দীগ্রাম-৪ মণ্ডলে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি চন্দ্রকান্ত মণ্ডল, সহ সভাপতি তারক প্রামাণিক, ১৯ জন পদাধিকারী পদ ছাড়েন। এরপরই রবিবার সকালে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার একটি বিজেপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, সংগঠনের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মণ্ডল বিভাজন করা হয়েছে। তাই ইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা।
এমনকী চন্দ্রকান্ত মণ্ডল বলেন, “শীর্ষ নেতৃত্ব এটা গুরুত্ব দিয়ে না দেখলে আরও বড় আন্দোলন হবে। ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। আমরা বিজেপিকে হারাতে দেবো না নন্দীগ্রাম বিধানসভা থেকে। কেউ যখন ছিল না, তখন আমরা বিজেপির ঝান্ডা কাঁধে ধরে রেখেছি। পদ্মফুলকে এখান থেকে মুছে দেওয়ার কারও যদি চক্রান্ত থাকে, সে চক্রান্ত আমরা সফল করতে দেব না।” যদিও তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, দল সবটাই নিয়ম মেনে দেখে।