TMC: ‘নিজের বুথে হেরে ভূত, সে আবার জেলা কমিটির নেতা’! মঞ্চে বসে থাকা সতীর্থদের খোঁচা তৃণমূল নেতার, উপভোটের অস্বস্তি ঘাসফুলে

TMC: এদিন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি সদর ২ নং ব্লকের বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ। মুখপাত্র সুদীপ রাহা।জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভার বিধায়ক ডাক্তার প্রদীপ কুমার বর্মা সহ অন্যান্য নেতারা। সেখানেই কৃষ্ণ দাসের করা মন্তব্যে শুরু চাপানউতোর।

TMC: ‘নিজের বুথে হেরে ভূত, সে আবার জেলা কমিটির নেতা’! মঞ্চে বসে থাকা সতীর্থদের খোঁচা তৃণমূল নেতার, উপভোটের অস্বস্তি ঘাসফুলে
তৃণমূল নেতার মন্তব্যে বিতর্ক Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2024 | 1:13 AM

জলপাইগুড়ি: রাজ্যের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান চলছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বংধামালীতে মহারাজ মেলার মাঠে ছিল তৃণমূলের জলপাইগুড়ি সদর ২ নং ব্লকের বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ। মুখপাত্র সুদীপ রাহা। জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভার বিধায়ক ডাক্তার প্রদীপ কুমার বর্মা সহ অন্যান্য নেতারা। সেখানেই কৃষ্ণ দাসের করা মন্তব্যে শুরু চাপানউতোর। তাঁর মন্তব্য শুনে অনেকেই মনে করছেন তিনি আদপে মঞ্চে বসে থাকা নেতৃত্বদেরই ফের খোঁচা দিলেন। তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল এসি-ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস বলেন, “আমি কলকাতা গিয়েছিলাম। সেখানে উত্তরবঙ্গের মানুষকে বেইমান বলা হয়েছে। কারণ লোকসভা নির্বাচনের ফল সামনে আসার পর দেখা যাচ্ছে সারা রাজ্যে তৃণমূলের জয়জয়কার। কিন্তু উত্তরবঙ্গে ঠিক উল্টো। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এখানকার মানুষ কি বেইমান? একদম না। বেইমান আমাদের কিছু নেতা।”

এখানেই না থেমে তিনি আরও বিদোষগার করে বলেন, “ওরা সারা দুনিয়াতে বলে বেড়ায় আমি জেলা কমিটির সদস্য কিংবা আমি রাজ্য কমিটির সদস্য। কিন্তু নিজের বুথে দলকে জেতাতে পারে না। বাড়িতে মানুষ গেলে রেগে যায়। দূর ছাই করে তাড়িয়ে দেয়। তারাই দল চালায়। আর এদের দেখলেই মানুষ রেগে যায়।” প্রসঙ্গত, সামনেই রাজ্যে উপভোট, তার আগে শেষবেলায় ঘর গুছিয়ে নিতে চাইছে শাসক-বিরোধী সব দলই। এমতাবস্থায়, তৃণমূলের এই জেলা স্তরের নেতার মন্তব্য শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতোর।