Fire at House In Jalpaiguri: গন্ধটা নাকে এসেছিল, মেয়েকে বুকে চেপেই জানলা দিয়ে বেরিয়ে আসেন মহিলা! চোখের সামনে ভয়ঙ্কর ঘটনা
Fire at House In Jalpaiguri: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মেয়েকে নিয়ে ঘরে ছিলেন চানাডিপা এলাকার বাসিন্দা ভারতী রায়। কোনওভাবে তাঁর বাড়িতে আগুন লেগে যায়।
জলপাইগুড়ি: একটা গন্ধ নাকে এসেছিল। ভাগ্যিস সেটাকে আমল দিয়েছিলেন তিনি। না হলেই ঘটে যেতে পারত আরও বড় ভয়ঙ্কর ঘটনা। মেয়েকে নিয়েই জীবন্ত ঝলসে যেতে হত ঘরের ভিতরেই। কিন্তু তেমনটা হয়নি। ঘরে আগুন লেগেছে বুঝতে পেরেই মেয়েকে বুকে চেপে জানলা দিয়ে লাফ মেরে বেরিয়ে এসেছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের গৃহবধূ। বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দুরামারির উত্তর চানাডিপা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মেয়েকে নিয়ে ঘরে ছিলেন চানাডিপা এলাকার বাসিন্দা ভারতী রায়। কোনওভাবে তাঁর বাড়িতে আগুন লেগে যায়। ভারতী তাঁর মেয়েকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। কোনওভাবে তাঁর নাকে পোড়া গন্ধ এসেছিল। টিন-বাঁশের বাড়ি জ্বলতে থাকে দাউ দাউ করে। নিমেশে পুড়ে যেতে থাকে বাড়ি।
স্বামী বাড়ি ছেড়েছেন বহু দিন আগেই। মেয়েকে নিয়ে একাই থাকতেন তিনি। কোনওভাবে ছোটোখাটো কাজ করে দিন যাপন করতেন। সহায় সম্বল বলতে মাথার ওপর এই ছাদটাই ছিল। কিন্তু সেটাও পুড়ে যাচ্ছে দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি ভারতী। কিন্তু কিছু না ভেবেই মেয়েকে বুকে চেপে বাড়ির জানলা দিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি।
ততক্ষণে আগুন আগুন চিৎকারে স্থানীয়রাও জড়ো হয়ে গিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তাঁরাই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিভেগেলেও বাড়ির বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছে। শালবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপিকা ওঁরাও বলেন, ” ভারতীর স্বামী নেই৷ তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে একাই বাড়িতে থাকতেন। এদিন আগুনে পুরো বাড়িটাই পুড়ে যাওয়ায় ওঁ ভীষন ক্ষতি হয়ে গেল। ওঁকে প্রশাশনিক ভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করা হবে। ” ধূপগুড়ি দমকল বিভাগ সূত্রে খবর, আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট না হলেও প্রদীপ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে অনুমান করছে দমকল বিভাগ।
বাড়ি হারিয়ে ভারতী প্রায় বাকরুদ্ধ। শুধু বললেন, “এই শীতের মাথার ছাদটুকু হারালাম। মেয়েটাকে নিয়ে কী করব….” প্রতিবেশীরা আপাতত সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। তাঁদের বক্তব্য, “অনেক কষ্ট করেই দিন কাটায়। টুকটাক যা কাজ করেন, তাতে মা-মেয়ের হয়ে যেত। নিজের একটা বাড়ি ছিল। সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। কিন্তু বাড়িটাও ঝলসে গেছে। সেটাকে ঠিক করে আবার তৈরি করতে হবে।”
অন্য আরেক প্রতিবেশী বললেন, “সাহায্য ছাড়া ওর পক্ষে এই ঘর আবার নতুন করে তৈরি করাটাই অসম্ভব। আমরা তো কয়েকদিন ওকে ওর মেয়েকে দেখে নেব। কিন্তু তারপর… প্রশাসনের সাহায্য প্রয়োজন। স্থানীয় নেতৃত্বকে বিষয়টা জানানো হয়েছে।”
আরও পড়ুন: পূর্বাভাস মতোই সবুজ ঝড় শহরে, ভোট শতাংশে পদ্মকে পিছনে ফেলে চমক বামেদের
আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: বাসভবনের সামনে জোরে গান বাজানো নিয়ে টুইট শুভেন্দুর! ‘ন্যাকা ষষ্ঠী’ কটাক্ষ কুণালের