Trafficking: বনকর্মীদের তাড়া খেয়ে সাইকেল ফেলে ছুট কাঠ মাফিয়াদের, উদ্ধার বিরাট অঙ্কের সেগুন কাঠ
jalpaiguri: বাঁচতে বাতাবাড়ি চা বাগানের গোদাম লাইনের কাছে সাইকেল সমেত কাঠ রেখে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় তারা।
জলপাইগুড়ি: রাতের অন্ধকারকে হাতিয়ার করে অবৈধভাবে পাচার হচ্ছিল সেগুন কাঠ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিপুল অঙ্কের সেই কাঠ উদ্ধার করলেন বনবিভাগের কর্মীরা। যদিও পলাতক পাচারকারীরা। আটক করা হয়েছে পাচারের কাজে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি সাইকেল।
রবিবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার চালসা রেঞ্জ এলাকায়। কারা সেগুন কাঠ নিয়ে যাচ্ছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে বন বিভাগের কর্মীরা।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর রাতে কয়েকটি সাইকেলে চাপিয়ে সেগুন কাঠ পাচার করার পরিকল্পনা করেছিল কাট মাফিয়ারা। জঙ্গল থেকে জাতীয় সড়ক ধরে সেগুলি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। গোপন সূত্রে এই ঘটনার খবর পান বন বিভাগের কর্মীরা। এরপরই চালসা রেঞ্জের বিট অফিসার মনুয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বনকর্মীরা খরিয়ার বন্দর জঙ্গলের মাঝে জাতীয় সড়কের একটি জায়গায় চোরা কারবারিদের জন্য লুকিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। ভোর প্রায় পৌনে পাঁচটা নাগাদ বনকর্মীদের নজরে আসে কাঠ মাফিয়ারা বেশ কয়েকটি সাইকেলে করে নিয়ে যাচ্ছেন সেগুন কাঠ। কারবারিদের ধরতে পিছন দিক থেকে ধাওয়া করেন বনকর্মীরা।
যদিও তাদের হাতের নাগালে আসার আগেই বিষয়টি বুঝে যায় চোরা কারবারিরা। বাঁচতে বাতাবাড়ি চা বাগানের গোদাম লাইনের কাছে সাইকেল সমেত কাঠ রেখে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় তারা। এরপর বন দপ্তরের তরফে সেই উদ্ধার কাঠ নিয়ে আসা হয় খারিয়ার বন্দর ক্যাম্পে।
বন বিভাগের দাবি, এদিনের অপারেশনে মোট ৮টি সাইকেল ও ৬টি সেগুন গাছের গুঁড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এই উদ্ধার হওয়ার কাঠের বর্তমান বাজার মূল্য ৫০ হাজার টাকা। কারা এই পাচারের সঙ্গে যুক্ত তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বেআইনিভাবে কাঠগুলি কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে কাঠ মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ও চোরা চালান বন্ধ করতে এই ধরনের অভিযান আরও চলবে বলে দাবি বন বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্তাদের।
উল্লেখ্য, এদিকে সীমান্তে কড়া রয়েছে বিএসএফ। কার্যত চোরাচালানকারীদের কোমর ভেঙে দিয়েছে তারা। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ জওয়ানরা কড়া হাতে চোরাচালান দমন করছেন। পাচারকারীদের পরিকল্পনা ক্রমাগত বানচাল করে দিচ্ছেন । কয়েকদিন আগেই জওয়ানরা ১০ টি সোনার বিস্কুট সহ এক চোরাচালানকারীকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন। আটক করা সোনার বিস্কুটের ওজন ১ কেজি ২৪১ গ্রাম। যার আনুমানিক মূল্য ৫৭ লাখ ১২ হাজার ৮১৯ টাকা। ধৃত ব্যক্তি ওই সোনার বিস্কুটগুলি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাকিমপুর এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসছিল।
আরও পড়ুন: Arambagh: চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা, আরামবাগের একাধিক ওয়ার্ডে কনটেইনমেন্ট জ়োন ঘোষণা পুরসভার