Kanchanjunga Express Accident: মালগাড়ির চালক কি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন? সিগন্যাল কেন দেখতে পেলেন না? কাঞ্চনজঙ্ঘার ভয়াবহ দুর্ঘটনার নেপথ্যে বড় কারণ

West Bengal Train Accident: শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৬ জনের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মৃত্যু হয়েছে মালগাড়ির লোকো পাইলটের।  প্রাথমিকভাবে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সিগন্যালিংয়ের বিভ্রাটের জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

Kanchanjunga Express Accident: মালগাড়ির চালক কি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন? সিগন্যাল কেন দেখতে পেলেন না? কাঞ্চনজঙ্ঘার ভয়াবহ দুর্ঘটনার নেপথ্যে বড় কারণ
ইনসেটে কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ড আশিস দে ও মালগাড়ির লোকো পাইলট অনীল কুমারImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 17, 2024 | 2:47 PM

 নিউ জলপাইগুড়ি: ভয়াবহ দুর্ঘটনা শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে।  কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। তাতে কাঞ্জনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের একটি বগি উঠে যায় ইঞ্জিনের ওপর। আরও দুটো বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৬ জনের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মৃত্যু হয়েছে মালগাড়ির লোকো পাইলটের।  প্রাথমিকভাবে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সিগন্যালিংয়ের বিভ্রাটের জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সিগন্যাল ফেল করে মালগাড়ি ধাক্কা মেরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। তাতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। কিন্তু তাতে প্রশ্ন উঠছে একাধিক।

প্রশ্ন উঠছে…

১. মালগাড়ি সিগন্যাল ভেঙে এগোল কী ভাবে?

২. যান্ত্রিক ত্রুটি না শুধুই চালকের দোষ?

৩. মালগাড়ির চালক কি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন? রেলের চালকরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান না বলে অভিযোগ উঠেছে আগে থেকেই।

৪. সব ট্রেনে কি আদৌ কবচ সিস্টেম চালু হয়েছে?

৫.  দুর্ঘটনাস্থলে ক্রসিং পয়েন্টে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি?

৬. মালগাড়ির ধাক্কায় দুমড়ে গিয়েছে যাত্রিবাহী কামরা।

৭. যে ট্রেন শিলচর/ আগরতলা-শিয়ালদহের মধ্যে চলে, তাতে অনেক  পুরনো আমলের কোচ কেন?

৮. কেন এখনও আধুনিক LHB কোচ দেওয়া যায়নি?

মূল কারণ হিসেবে যেটা উঠে আসছে, সেটা শুধু যে সিগন্যাল ত্রুটি বা আনুষঙ্গিক কারণ তা নয়, মাল গাড়ির যারা লোকো পাইলট হয়, তাঁদের শরীরের ক্লান্তি এই ধরনের দুর্ঘটনা ডেকে আনছে। নিয়মে বলা রয়েছে, ৮-১০ ঘন্টা মালগাড়ি র লোকো পাইলট নিজের পরিষেবা দিতে পারবেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাঁদের দিয়ে ১৬-১৭ ঘন্টা রেক চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে। শীতের সময় কোনওভাবে এই চালকরা সামলে নিলেও, গরমকালে রীতিমতো শরীর ভেঙ্গে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে রেল মন্ত্রক এবং রেল বোর্ডের কাছে বারবার উত্থাপন করা হলেও, লোকো পাইলট নিয়োগের ব্যাপারে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। ফলে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। শরীর ক্লান্তির জন্যই চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। এক্ষেত্রেও তেমনি হয়েছে বলে মনে করছেন রেল আধিকারিকদের একাংশ।

রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মালগাড়ির গতিবেগ ছিল ১০০-১১০ কিলোমিটার। ক্রসিং পেরিয়ে গিয়ে ধাক্কা মেরেছে মালগাড়িটি। তখনও গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার ছিল বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে সিগন্যাল ফেল করলেন চালক? যান্ত্রিক গোলোযোগ, নাকি চালকের ত্রুটি, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।