AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dhupguri Sand Smuggling: উত্তরবঙ্গে বেআইনি বালি ব্যবসা রমরমা? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশও অমান্য

Sand Smuggling: সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টির জন্য ভয়াবহ ধস নামে পাহাড়ে। তছনছ হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের একাধিক রাস্তা-বাড়ি সব। পরিবেশবিদদের দাবি, প্রকৃতির উপর বেপরোয়া ভাবে অত্যাচার এর অন্যতম কারণ। শুধু পরিবেশবিদরা নয়, একই সঙ্গে বহু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারেবারে বার্তা দিয়েছেন নদীর চর থেকে বেআইনিভাবে বালি না হয়।

Dhupguri Sand Smuggling: উত্তরবঙ্গে বেআইনি বালি ব্যবসা রমরমা? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশও অমান্য
কীভাবে চলছে পাচার Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2025 | 11:34 AM
Share

ধূপগুড়ি: বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বালি পাচারের তল্লাশিতে অভিযান চালাচ্ছে ইডি (ED)। কিন্তু তারপরও উত্তরবঙ্গে অব্যাহত বালি তোলা। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরেও চলছে বেআইনি বালি তোলার কাজ। অভিযোগ, শিক্ষা নেয়নি, সতর্ক হয়নি প্রশাসন। নেই কোনও নজরদারিমুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নদী থেকে বেআইনি বালি উত্তোলন বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ। 

জানা যাচ্ছে, এখনও ডুয়ার্সের ডিমডিমা, কালুয়ারাঙাতি নদীজুড়ে দেদার চলছে বালি তোলা ও পাচারের কারবার। প্রশ্ন উঠছেযেখানে সরকারি বালি খাদান থেকেও বালি তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার ও সেচ দফতর। সেখানে কীভাবে এই অবৈধ কাজ চলছে প্রকাশ্যে?

মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ রয়েছে, বেআইনি বালি উত্তোলন ও পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। প্রশাসনের চোখের সামনেই সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলছে অবৈধ ব্যবসা। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, পুলিশের নিচু তলার কিছু আধিকারিক ও শাসক দলের কিছু নেতার যোগসাজশেই এই বেআইনি বালি পাচার অব্যাহত রয়েছে। না হলে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে দিনের আলোয় পুলিশের চোখের সামনে এমন বেপরোয়া পাচার সম্ভব নয় বলেই দাবি বিরোধীদের। বিজেপি নেতা চন্দন দত্ত বলেন, “তৃণমূলের প্রত্যক্ষ মদতে এই সব হচ্ছে। বালি যাঁরা পাচার করছে তাদের বিরুদ্ধে এখনও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টির জন্য ভয়াবহ ধস নামে পাহাড়ে। তছনছ হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের একাধিক রাস্তা-বাড়ি সব। পরিবেশবিদদের দাবি, প্রকৃতির উপর বেপরোয়া ভাবে অত্যাচার এর অন্যতম কারণ। শুধু পরিবেশবিদরা নয়, একই সঙ্গে বহু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারেবারে বার্তা দিয়েছেন নদীর চর থেকে বেআইনিভাবে বালি না হয়। তার জন্য পদক্ষেপ করারও বার্তা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই সকল নিষেধাজ্ঞায় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একশ্রেণির মানুষ ক্রমেই এই কাজ করে চলেছে। তৃণমূল নেতা রাজেশ কর বলেন, “কিছু অবৈধ চোরাকারবারি এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছে। তাঁরা রঙ, ধর্ম, বর্ণ সব বিশেষের উর্ধ্বে। এদের পুলিশ দেখছে। কড়া ভাবেই পুলিশ পদক্ষেপ করছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই এই কাজ চলছে।”