কোভিড আক্রান্তদের তথ্য ফাঁস! স্বীকার করলেন স্বাস্থ্য আধিকারিক

রাজ্যের করোনা আক্রান্তদের ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে, তা বিক্রিও হতে পারে ডার্ক ওয়েবে!

কোভিড আক্রান্তদের তথ্য ফাঁস! স্বীকার করলেন স্বাস্থ্য আধিকারিক
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 23, 2021 | 7:44 PM

শিলিগুড়ি: রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইট থেকেই পাওয়া যাচ্ছে লক্ষাধীক মানুষের কোভিড রিপোর্ট (Covid Report)। ‘এথিক্যাল হ্যাকিং’- এর সঙ্গে যুক্ত যে কেউ চাইলেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যেতে পারে লক্ষাধিক মানুষের কোভিড রিপোর্ট, নাম-ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য। শিলিগুড়ির একাদশ শ্রেণির ছাত্র এথিক্যাল হ্যাকার সৌরজিৎ মজুমদারের (Sourajit Majumdar) দাবি ছিল এমনটাই। সেই তথ্য ফাঁসের দাবিতে কার্যত স্বীকৃতি দিলেন উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি, চিকিৎসক সুশান্ত রায়।

এথিক্যাল হ্যাকিং নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা করেন একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া সৌরজিৎ। গুগল, টাম্বলার-সহ বড় বড় সংস্থার ওয়েবসাইট সংক্রান্ত নানা ভুলভ্রান্তি ধরে দিয়ে তাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন বছর আঠারোর এই ছাত্র। কিছুদিন আগে নিছক কৌতূহলের বশেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে ঢুঁ দিয়েছিলেন তিনি। আর তারপরই সৌরজিৎ করোনা আক্রান্তদের যাবতীয় তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানান। তিনি দাবি করেন, কম্পিউটারে পারদর্শী যে কেউ করোনা রোগীদের তথ্য ছড়িয়ে দিতে পারেন। এ নিয়ে এক কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রিপোর্ট করেন সৌরজিৎ। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের নজরেও বিষয়টি আনেন।

এই প্রেক্ষিতে তথ্য ফাঁসের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন উত্তরবঙ্গের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক। চিকিৎসক সুশান্ত রায়ের কথায়, করোনা আক্রান্তরা যাতে সামাজিক সমস্যায় না পড়েন তাই তাঁদের তথ্য গোপন রাখা হয়। আক্রান্তদের বাড়ির লোক ছাড়া আর কাউকে তাঁদের সংক্রামিত হওয়ার তথ্য দেওয়া হয় না। কিন্তু কীভাবে সেই তথ্য প্রকাশ্যে চলে এসেছে তা ভেবে কার্যত অবাক তিনি। জানান, এ নিয়ে খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: প্রসবের সময় ‘হ্যাঁচকা টান’, জন্মানোর পরই ছিঁড়ে গেল সদ্যোজাতর ঘাড়ের শিরা, পরের দৃশ্য আরও মর্মান্তিক

এদিকে সৌরজিতের জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ডেটাবেস প্রকাশ্যে এলে বহু মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে। তা বিক্রিও হতে পারে ডার্ক ওয়েবে। সেখানে চড়া দরে এসব তথ্য কেনাবেচা করে বিভিন্ন টেলিমার্কেটিং সংস্থা। তবে ইতিমধ্যেই এই তথ্য হ্যাকারদের কাছে গিয়েছে কিনা তা একমাত্র রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর বলতে পারবে বলে জানান সৌরজিৎ। তাঁর কথায়, “শুভবুদ্ধি সম্পন্ন এথিক্যাল হ্যাকার বা নেট রিসার্চার হিসেবে আমি বিষয়টি জানতে পেরে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের নজরে এনেছি। এখনও এই ডেটা প্রকাশ্যেই রয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক জানান দ্রুত এ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা।