Jalpaiguri: সাইবার প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস, পুলিশের জালে ৩ অভিযুক্ত
Jalpaiguri: পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে ৩৫ টি সিমকার্ড। পিওএস মেশিন।বায়ো মেট্রিক ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে। এই সিমকার্ড ব্যবহার করে রাজ্য কিংবা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট কিংবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার মতো সাইবার অপরাধ সংগঠিত করা হতো বলে দাবি পুলিশের।

জলপাইগুড়ি: নথি জাল করে একাধিক প্রি-ক্টিভ সিম কার্ড ইস্যু করার অভিযোগ। জলপাইগুড়ি জেলার চা বলয়ে থাকা মাল, মেটেলি, নাগ্রাকাটা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন মোবাইল সিমকার্ড ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের বিশেষ সাইবার ক্রাইম এক্সপার্ট টিম।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে ৩৫ টি সিমকার্ড। পিওএস মেশিন।বায়ো মেট্রিক ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে। এই সিমকার্ড ব্যবহার করে রাজ্য কিংবা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট কিংবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার মতো সাইবার অপরাধ সংগঠিত করা হতো বলে দাবি পুলিশের। ধৃতদের রবিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে হাজির করে নিজেদের হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। কীভাবে অপরাধ সংগঠিত হত তা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন জলপাইগুড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তার টিম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায় বলেন, “দেশ কিংবা রাজ্যের বিভিন্ন থানা এলাকায় যেই সমস্ত প্রি-অ্যাক্টিভ সিমকার্ড ব্যবহার করে সাইবার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার তালিকা করা হয়। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার ১৫০ টির বেশি সিম কার্ডের হদিস পাওয়া গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে ডুয়ার্সের চা বাগান সংলগ্ন এলাকার সমস্ত মানুষের সরলতাকে কাজে লাগিয়ে তাঁদের নামে একাধিক সিম তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই সিম কার্ডগুলি কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্ট কিংবা অন্যান্য সাইবার ক্রাইম সংগঠিত করা হয়েছে। তাই এই চক্রের শিকড় অবদি পৌঁছে যেতে এদের আজ আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন কেউ নতুন সিমকার্ড কিনতে গেলে সতর্ক থাকতে হবে। একাধিক বার ফিঙ্গার প্রিন্ট কিংবা একাধিকবার ছবি তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিংবা ফেরি করে সিমকার্ড বিক্রি করছেন তাঁদের কাছ থেকে সিমকার্ড না কেনাই ভাল।





