TMC: ‘নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে কমিউনিকেশন গ্যাপ’, সাগরদিঘির ফলাফলের পর অভিমানের সুর তৃণমূল নেতার গলায়
Jalpaiguri: তিনি জানান, "আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে জলপাইগুড়ি জেলায় দাঁত ফোটাতে পারবে না বিরোধীরা। তাই অত উচ্ছসিত হওয়ার কিছুই নেই।"
জলপাইগুড়ি: সাগরদিঘির (Sagardighi) ফলাফলের পরই কিছুটা আত্মবিশ্বাসী বাম-কংগ্রেস জোট। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাড়তি অক্সিজেন বিরোধীদের। এই পরিস্থিতিতে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ বিজয় চন্দ বর্মণ। বললেন, দলের নিচু তলার কর্মীদের সঙ্গে একটা কমিউনিকেশন গ্যাপ তৈরি হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদের অভিমানকে সম্মান জানিয়ে ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতির। তিনি জানান, “আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে জলপাইগুড়ি জেলায় দাঁত ফোটাতে পারবে না বিরোধীরা। তাই অত উচ্ছসিত হওয়ার কিছুই নেই।”
সাগরদিঘিতে বাম-কংগ্রেস জোট জেতার পরই রাজনৈতিক মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে কি ধীরে-ধীরে তৃণমূল থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন সংখ্যালঘুরা? চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এই আবহে প্রাক্তন সাংসদ বিজয় চন্দ বর্মণ বললেন, “জলপাইগুড়ি জেলায় এখনও জেলা কমিটি গঠন হয়নি। দলের নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে নেতাদের একটা বিশাল কমিউনিকেশন গ্যাপ তৈরি হয়েছে। যা অতি সত্তর না মেটালে সমস্যা বাড়বে তৃণমূলের অন্দরে।” একইসঙ্গে তাঁর আরও অভিযোগ, শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে। তবে মানুষ এখনও তৃণমূলের পাশ থেকে সরে যায়নি। সামনে পঞ্চায়েত ভোট একটু দরদ দিয়ে কর্মীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ প্রয়োজন। ”
উল্লেখ্য, সাগরদিঘিতে তৃণমূলের পরাজয়ে অশনি সংকেত দেখছে রাজনৈতিক মহল। ৬৩ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার অধ্যুষিত অঞ্চলে তৃণমূলের পরাজয় ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বাম কংগ্রেস শিবিরের অনেকেই দাবি করছেন, সাগরদিঘি একটা মডেল। সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক যে তৃণমূলের থেকে সরছে, এটা তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত বলে দাবি করছেন তাঁরা। বিশেষত, কোনও উপনির্বাচনে শাসক দলের জেতার সম্ভাবনাই থাকে প্রবল, সেক্ষেত্রে সংখ্যালঘু ভোটার অধ্যুষিত সাগরদিঘির উপনির্বাচনে শাসক দলের পরাজয় বিরোধী শিবির বিশেষত বাম-কংগ্রেসকে উজ্জীবিত করে তুলেছেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।