Dooars: এক রাতের দুর্যোগ যেন সব শেষ করে দিল! উৎসবের ভরা মরসুমেও খাঁ খাঁ করছে ডুয়ার্স
Tourists in Dooars: অন্যান্য বছর পুজো আর দীপাবলির মাঝের এই সময় পর্যটন কেন্দ্র, রিসর্টগুলিতে জায়গা পাওয়াই রীতিমতো চাপের হয়ে যায়। অনেক আগে বুকিং না করলেও ঘর পাওয়াই দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু একরাতের দুর্যোগ এ বছর যেন সবটা শেষ করে দিল।

জলপাইগুড়ি: ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাক্ষী থেকেছে উত্তরবঙ্গ। লাগাতার এসেছে মৃত্যুর খবর। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে ছুটে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সপ্তাহান্তে প্রবল বর্ষণের সাক্ষী থেকে ডুয়ার্সের বড় এলাকা। কোথায় কোথাও তো এক্কেবারে সাড়ে তিনশো মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টির ছবিও দেখা গিয়েছে। গর্জন শোনা গিয়েছে একের পর এক নদীতে। ভেঙেছে সেতু। বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও গোটা ডুয়ার্সজুড়েই যেন বিষাদের ছায়া। পুজোর এই সময়টায় পর্যটনের ভরা মরশুমে অন্যান্য বছর যেখানে মানুষের কোলাহলে গমগম করে সেখানে এখন খাঁ খাঁ করছে চারপাশ।
তথ্য বলছে, নতুন বুকিং তো আর হচ্ছেই না। উল্টে বুকিং বাতিল করে ফিরেও যাচ্ছেন পর্যটকরা। যার জেরে লাটাগুড়ি মূর্তি পর্যটন কেন্দ্র কার্যত পর্যটক শূন্য। দোকান খোলা থাকলেও দেখা নেই ক্রেতাদের। সংসার কী করে চলবে তা ভেবেই মাথায় হাত ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের।
এদিকে অন্যান্য বছর পুজো আর দীপাবলির মাঝের এই সময় পর্যটন কেন্দ্র, রিসর্টগুলিতে জায়গা পাওয়াই রীতিমতো চাপের হয়ে যায়। অনেক আগে বুকিং না করলেও ঘর পাওয়াই দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। এবারও শুরুটা হয়েছিলই তেননই আঙ্গিকে। কিন্তু একরাতের দুর্যোগ যেন সবটা শেষ করে দিল। ৯০ শতাংশ রিসর্ট এখন কার্যত পর্যটক শূন্য। তথ্য বলছে, যাঁরা আগাম বুকিং করেছিলেন তাঁদের সিংহভাগই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর বাতিল করে দিয়েছেন। যাঁরা ঘুরতে এসেছিলেন তাঁদের অনেকেই মাঝ পথেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এমনই ছবি দেখা গেল ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি মূর্তি এলাকায়। ব্যবসায়ী থেকে রিসর্টের লোকজন অভয় দিলেও অবস্থার বদল হয়নি। ভয় কাটেনি পর্যটকদের। এখন দেখার পরিস্থিতি কতদিনে স্বাভাবিক হয়।
