Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

চাকরি দেওয়ার নামে ৭০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে

TMC: চাকরি দেওয়ার নামে ৭০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে।

চাকরি দেওয়ার নামে ৭০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে
প্রতারিত তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ
Follow Us:
| Updated on: Jun 28, 2021 | 12:46 AM

ধূপগুড়ি: চাকরি দেওয়ার নামে ৭০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৈঠক ডেকেও তাতে নিজেই অনুপস্থিত অঞ্চল সভাপতি। এ নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ বানারহাট ব্লকের নাথুয়াহাট এলাকায়।

রবিবার বানারহাট ব্লকের শালবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কমিটির তরফে নাথুয়া বানিয়াপাড়া চৌরাস্তা হাই স্কুলে দলীয় বৈটক ডাকা হয়। সেই মিটিং ঘিরেই তীব্র উত্তেজনা। কারণ মিটিংয়ে গরহাজির ছিলেন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি প্রলয় দাস। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের একটি অংশের কর্মী সমর্থকরা। স্কুলের গেটে অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা।

অভিযোগ, অঞ্চল সভাপতি প্রলয় দাস জল সম্পদ বিভাগ, সিভিক ভলান্টিয়ার, আইসিডিএস দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের কাছ থেকে। তৃণমূল সূত্রেই খবর, এই প্রতারিতদের সংখ্যা প্রায় ৪০ জন।

তাঁদের দাবি, চাকরি তো হয়ইনি। তার ওপর সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়েও টালবাহানা শুরু করেন অঞ্চল সভাপতি। রবিবার অলিখিতভাবে সেই টাকা ফেরতের বিষয় নিয়েই সাধারণ সভা ডাকা হয়েছিল নাথুয়া বানিয়াপাড়া চৌরাস্তা হাই স্কুলে। কিন্তু মিটিংয়ের সময় যেই প্রতারিতরা জমায়েত হবেন এই খবর পেয়েছেন, আর বৈঠকে আসেননি তিনি। আর এ নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতারিতরা।

মিটিংয়ে উপস্থিত একজন বলেন,”আমরা দল করি যাতে সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের সভাপতি এক বছর হতে না হতেই প্রায় ৪০ জনের থেকে ৭০-৮০ লাখ টাকা নিয়েছেন চাকরি দেওয়ার নাম করে। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সভাপতি।”

গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান কালিপদ রায় বলেন, আজ একটি দলীয় সাধারণ সভা ডাকা হয়েছিল অঞ্চল সভাপতির পক্ষ থেকে। কিন্তু কী কারণে আচমকাই তিনি সেই মিটিং বাতিল করেন কারও জানা নেই। অঞ্চল কমিটির কোনো সদস্যকে তিনি জানাননি। তিনি যোগ করেন, যাঁরা টাকা দিয়েছেন আর যাঁরা টাকা নিয়েছেন, দুই পক্ষই সমান দোষী। দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি জানাব।

আরও পড়ুন: আসানসোলে বিজেপি-ভাঙন, জেলা সম্পাদক সহ ৩৮ নেতা যোগ দিলেন তৃণমূলে 

এদিকে অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি প্রলয় দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। কিন্তু বৈঠকে অনুপস্থিতির কারণ বলেননি।