উৎসবের মরসুমে অনলাইন লটারি ও জুয়ায় ঢুকছে মাদক ব্যবসার টাকা, উচ্ছেদে তৎপর পুলিস

মালদা জেলাতেও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে অনলাইন লটারি ও বেআইনি জুয়ার ঠেক। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেখানে মাদক কারবারি এবং পাচারকারীরা টাকা খাটাচ্ছে, তদন্তে নেমে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে ইংরেজবাজার থানার পুলিস।

উৎসবের মরসুমে অনলাইন লটারি ও জুয়ায় ঢুকছে মাদক ব্যবসার টাকা, উচ্ছেদে তৎপর পুলিস
english bazar police station raid
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 9:41 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: উৎসবের মরসুমে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি মালদা (Malda) জেলাতেও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে অনলাইন লটারি ও বেআইনি জুয়ার ঠেক। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেখানে মাদক কারবারি এবং পাচারকারীরা টাকা খাটাচ্ছে, তদন্তে নেমে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে ইংরেজবাজার থানার পুলিস। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অনলাইন লটারি ও বেআইনি জুয়ার ঠেকগুলি উচ্ছেদ করতে ‘অল আউট অ্যাটাক’ করা হবে।

মাদক কারবারি ও পাচারকারীদের টাকা কীভাবে এই কাজে ব্যবহার হচ্ছে ও টাকার অঙ্ক আনুমানিক কতটা, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য পুলিস দিতে চায়নি। তবে এখন থেকে যে টানা উচ্ছেদ অভিযান চলবে সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইংরেজবাজার থানার আইসি এম রায়। তিনি জানিয়েছেন, বেআইনি জুয়ার ঠেক বন্ধ করতে প্রতিদিনই অভিযান চলছে, বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও হয়েছে। এবার অনলাইন লটারি ব্যবসাও বন্ধ করা হবে।

আরও পড়ুন: মমতাকে ‘পিসি’ সম্বোধন, মালব্যের আইটি সেলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তৃণমূলের

আইপিএল বা ফুটবল বিশ্বকাপ হোক বা না হোক, যে কোনও সময়ই রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেআইনি জুয়া অনলাইন লটারির ঠেক যদি কোথাও বসে থাকে তা অবশ্যই মালদা জেলায়। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার কারণে তাতে মাদক পাচারকারীদের টাকাও খাটে। তবে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে পাচার ও কারবার কমে যাওয়ায় মাদক মাফিয়ারা এখন জুয়া ও লটারিতে টাকা ঢালতে শুরু করেছে প্রচুর পরিমাণে। এমনকী, জেলার পুলিস ও রাজনীতিবিদদের একাংশও এই বেআইনি ব্যবসা থেকে মুনাফা কামাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় বেআইনি জুয়া ও অনলাইন লটারির সেন্টারগুলিকে অবিলম্বে বন্ধ করাতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন।