Abhishek Banerjee: দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভে থেমে গেল অভিষেকের কনভয়, রাস্তায় নেমে শুনলেন ভূরি ভূরি অভিযোগ

Abhishek Banerjee: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় থামিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাঁদের প্রত্যেকের হাতেই তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছিল। অভিযোগ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের কথা শোনেন, তাঁদের মুখ থেকে নাম শুনে ডায়েরিতে লিপিবদ্ধও করেন।

Abhishek Banerjee: দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভে থেমে গেল অভিষেকের কনভয়, রাস্তায় নেমে শুনলেন ভূরি ভূরি অভিযোগ
মালদায় অভিষেকের কর্মসূচি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2023 | 4:26 PM

মালদহ: দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডকে কাছ থেকে পেয়েছেন তাঁরা। তাই এটাই ছিল তাঁদের কাছে সবচেয়ে বড় সুযোগ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় থামিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাঁদের প্রত্যেকের হাতেই তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছিল। অভিযোগ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের কথা শোনেন, তাঁদের মুখ থেকে নাম শুনে ডায়েরিতে লিপিবদ্ধও করেন। মালদার মালতিপুর বিধানসভার চাঁচল থেকে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন অভিষেক। রতুয়ায় রোড শোয়ের পর মানিকচকের এনায়েতপুরে সভা ছিল তাঁর। কনভয় যখন ইংরেজবাজার ব্লকের বিনোদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেঠো রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন সাততরি গ্রামে তাঁকে ঘিরে ধরেন স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী। তাঁদের দেখে গাড়ি থেকে নেমে আসেন অভিষেক। সে সময়ে গ্রামবাসীরা ব্লক সভানেত্রী প্রতিভা সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিষেকের কাছে নালিশ করেন।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, গ্রামে কোনও উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়নের নামে গ্রামে প্রচুর টাকা লুঠ হয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরনো সদস্যদেরও টিকিট দেওয়া যাবে না। অভিষেক অবশ্য বিক্ষুব্ধদের কথা শোনেন। তিনি কিছু উত্তর না দিলেও বিষয়টি নথিবদ্ধ করে চলে যান। উল্লেখ্য, এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্লক সভানেত্রী প্রতিভা সিং কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত।

যদিও বিনোদ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বলেন, “অভিষেককে যাঁরা তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে নালিশ জানিয়েছে তারা কেউ তৃণমূল নয় । স্থানীয় সিপিএম নেতা মুকবেল মিঞা এই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাকে নেওয়া হয়নি তৃণমূলে। তিনি জমি মাফিয়া ।”

অভিষেকের নব জোয়ার ক্যাম্পে উপস্থিত বিনোদ পুরের উপ প্রধান বলেন , “প্রতিভা সিং ওকে ঢুকতে দেয়নি দলে, তাই নাটক করল । আসল তৃণমূল কর্মীরা কর্মসূচিতে ব্যস্ত।”

তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে একটি অন্যতম বিষয় হল ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। ব্যালট বাক্সে ভোট দেওয়া নিয়েও কম হুলুস্থূল কাণ্ড ঘটেনি। আসনে শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছেন, ভোটের আগে জল মেপে নিতে। মানুষ তাঁর এলাকায় কাকে প্রার্থী হিসাবে দেখতে চান, সেটাই যাচাই করে নিতে চাইছে তৃণমূল। কিন্তু এই অ্যাসিট টেস্টেও ব্যাপক গোলযোগ! এই কর্মসূচিতে ব্যালট বাক্স নিয়ে বিশৃঙ্খলার ভুরি ভুরি অভিযোগ এসেছে। তবে অভিষেকের সামনেই স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার ঘটনা এই কর্মসূচিতে প্রথম।

এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরাও। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ওঁ প্রমোদ বিহারে গেছেন। কোটি কোটি টাকা খরচ করে।বায়ে ডাইনে সামনে ছয় দফা বাউন্সার ঘিরে রেখেছে।সেই বাউন্সার রাখা সত্ত্বেও দু’হাজার রাজ্য পুলিশ। সেই যাত্রাপথে তার গাড়ি থামিয়ে বিক্ষোভ দেখালো তৃণমূলের কর্মীরা। হয়তো এসপি,ওসি, সিআইদের অবিলম্বে খারিচ করে দেবে নিশ্চয়ই। অভিষেকের যাত্রাপথকে তারা নির্বিঘ্নে রাখতে পারল না।এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টের পেয়েছিলেন। আজকে তাই ওঁর পাশে দাঁড়াতে গিয়েছেন।”