Malda news: চাকরি, লোনের নামে টাকা লোপাট? তৃণমূল নেতাকে ক্লাবঘরে আটকে রাখল TMC-র লোকরাই
Malda: তৃণমূল নেতাকে এলাকার ক্লাবঘরে বন্ধ করে রাখল তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদেরই একাংশ। তাঁকে ক্লাবঘরে দরজা বন্ধ করে মারধর করা হয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর। ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা হয়েছে।
মালদা: চাকরি দেওয়ার নাম করে ও লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগে এবার ওই তৃণমূল নেতাকে এলাকার ক্লাবঘরে বন্ধ করে রাখল তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদেরই একাংশ। তাঁকে ক্লাবঘরে দরজা বন্ধ করে মারধর করা হয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর। ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার তুলসিহাটা এলাকায়। বুধবার ওই তৃণমূল নেতা মুখে মাস্ক পরে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ঢুকতেই স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে পাকড়াও করেন।
ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মিঠাপুর গ্রামে। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজের রাজনৈতিক পরিচয় ভাঙিয়ে এলাকার বহু যুবক-যুবতীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। কাউকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে, আবার কাউকে লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যাঁরা সেই সময় টাকা দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থক রয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কারও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। পরে নেতার সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টাও করেছিলেন অনেকে, কিন্তু তিনি ফোন তুলতেন না বলে অভিযোগ।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল এই বিষয়ে বলেন, “মশিউর রহমান তৃণমূলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শুধু জড়িতই নন, তিনি তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। এর আগেও ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। কিন্তু তা সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল। কিন্তু এখন তৃণমূলের লোকরাই তুলসিঘাটা ব্রিজে একটি ক্লাবের মধ্যে তাঁকে আটক করে রেখেছে। কোটি কোটি টাকা চাকরি দেওয়ার নাম করে নিয়েছে। যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরাও তৃণমূলের লোক, যাঁরা টাকা দিয়েছেন তাঁরাও তৃণমূলের লোক।”
যদিও হরিশচন্দ্রপুর ১ বি তৃণমূল ব্লক সভাপতি মানিক দাস বলেন, “আমি খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি নিশ্চয়ই জানব। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে, দল তাঁর পাশে থাকবে না। কে কী করেছেন, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। দলের কাছে অভিযোগ জমা পড়লে, দল সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাঁর বিষয়ে আমার কোনও ধারণা নেই। মাঝে মধ্যে দেখতে পাই, সংখ্যালঘু সেলের একটি বোর্ড নিয়ে ঘুরে বেরায়।”