চিনা ‘গুপ্তচর’ হান জুনেইকে ১০ দিনের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

সম্প্রতি মালদহের কালিয়াচক থেকে গ্রেফতার করা হয় চিনের নাগরিক হান জুনেইকে। প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন এ দেশে বেড়াতে এসেছেন। কিন্তু ক্রমেই জেরায় তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা।

চিনা 'গুপ্তচর' হান জুনেইকে ১০ দিনের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের
আটক চিনা নাগরিক হান জুনেই, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 16, 2021 | 6:10 PM

মালদহ: ১০ দিনের এসটিএফের হেফাজত হল চিনা নাগরিক হান জুনেই (Han Zeune)-র। বুধবার মালদহ আদালতে তোলা হয় তাঁকে। মঙ্গবারই হানের গ্রেফতারের পর তদন্ত ভার নিয়েছে এসটিএফ (STF)। এরপরেই তাঁরা হানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন করে। এদিন আদালতের নির্দেশে হানকে ১০ দিনের এসটিএফের হেফাজত দেওয়া হল। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই হানকে নিয়ে তদন্তের স্বার্থে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ জেরা করবে এসটিএফ।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মালদহের কালিয়াচক থেকে গ্রেফতার করা হয় চিনের নাগরিক হান জুনেইকে। প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন এ দেশে বেড়াতে এসেছেন। কিন্তু ক্রমেই জেরায় তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা। এখনও অবধি যা তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে এসেছে, তাতে ভারতের আর্থিক পরিকাঠামো ধ্বংস করাই হানের মূল লক্ষ্য ছিল বলে সূত্রের খবর। জেরায় উঠে আসা তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ‘মাল্টি লেভেল মার্কেটিং’ এর নাম করে হান ও তাঁর সঙ্গী সান জিয়াং তথ্য পাচারের কাজ করতেন। পাওয়ার ব্যাঙ্ক ও ইভেন্ট প্ল্যান্ট বলে দু’টি অ্যাপও তৈরি করেছিলেন তাঁরা। জানা যায়, টাকা দ্বিগুণ করিয়ে দেওয়ার নাম করে, সেই অ্যাপের মাধ্যমেই তাঁরা ভারতে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লগ্নি করাতেন তিনি।

এতদিন অবধি হান সংক্রান্ত যে সমস্ত তথ্য বিএসএফ ও মালদহ জেলা পুলিশের হাতে ছিল, অর্থাৎ তারা যে জেরা করেছিল তার রিপোর্ট বা আইআর (ইন্টারোগেশন রিপোর্ট), হানের জেরার ভিডিয়ো রেকর্ডিং, কী ভাবে সে ভারতে এল তার পুনর্নির্মাণের রেকর্ড সমস্ত তথ্য দেওয়া হয় এসটিএফকে।

আরও পড়ুন: স্থানীয় চিনা ভাষায় লক করা হানের মোবাইল-ল্যাপটপ, শরীরে চিপও লুকিয়ে রাখতে পারে এই চিনা নাগরিক 

পাশাপাশি শুধু বাংলা নয় উত্তর প্রদেশ পুলিশেরও বিশেষ টিম হানকে খুঁজছিল। অর্থাৎ তদন্তের স্বার্থে এবার হানকে অন্য রাজ্যেও নিয়ে যেতে হতে পারে। এসটিএফের এই ধরনের তদন্তের জন্য সবরকম পরিকাঠামো রয়েছে। কলকাতায় নিয়ে এলে হানের শারীরিক পরীক্ষা থেকে শুরু করে সাইবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা হবে। কারণ এসটিএফের বিশেষজ্ঞ দল রয়েছে। সে কারণেই তদন্তভার এসটিএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।