Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘দিদিকে সাফ করা গেল না!’, তাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন প্রায় ৩০০ কর্মী

বিজেপির (BJP) দাবি জঞ্জাল সাফ হচ্ছে। আর তৃণমূল (TMC) বলছে, 'বিজেপি আবর্জনার দল।'

'দিদিকে সাফ করা গেল না!', তাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন প্রায় ৩০০ কর্মী
দুই পঞ্চায়েত সদস্যও যোগ দিলেন তৃণমূলে (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Updated on: Jun 17, 2021 | 1:21 PM

মালদা: বড়সড় ভাঙন বিজেপিতে। মালদায় দুই পঞ্চায়েত সদস্য-সহ তিন শতাধিক কর্মী বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। সেই দলে রয়েছেন বিজেপপি যুব মোর্চার পর্যবেক্ষকও। এই যোগদানে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুরে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন অন্তত ৩০০ জন। গেরুয়া শিবিরের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁরা এ দিন যোগ দিলেন তৃণমূলে। কিছুদিন আগে এই হরিশ্চন্দ্রপুরের ভিঙ্গোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। এবার হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির আরও দুই সদস্য বাবুয়া হরিজন এবং লালু ওরাও যোগ দিলেন তৃণমূলে। সেই সঙ্গে যোগ দিলেন বিজেপি যুব মোর্চার ব্লক সভাপতি অভিজিৎ কর্মকার, হরিশ্চন্দ্রপুর ৪৬ বিধানসভার পর্যবেক্ষক দীপক ঋষি সহ অনেকেই। হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃনমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল এই যোগদান পর্ব।

যোগদানের সময় উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান, জম্মু রহমান, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি জিয়াউর রহমান, তৃণমূল নেতা সঞ্জীব গুপ্তা সহ ব্লকে তৃণমূল নেতারা।

হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২৬টি আসন। বর্তমানে পঞ্চায়েত রয়েছে শাসক দলের দখলেই। তৃণমূলের আসন সংখ্যা ১৮, বিজেপির হাতে ৭ টি, কংগ্রেসের হাতে একটি আসন রয়েছে। এই যোগদানের পর বিজেপির আসন সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৫। তৃণমূল কংগ্রেসে আসন বেড়ে হল ২০। এ দিকে হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যত বিরোধীশূন্য করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেতা বুলবুল খান।

তৃণমূলে যোগদান করে বিজেপির যুব মোর্চার ব্লক সভাপতি অভিজিৎ কর্মকার বলেন, ‘আজ আমরা প্রায় ৩০০ জন তৃণমূলে যোগদান করলাম।বিজেপি আবর্জনার দল।ওখানে থাকা যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম। মমতা যে ভাবে কাজ করছেন তাতে রাজ্যে আরও কুড়ি বছর তৃণমূল থাকবে।’ তাঁর কথায়, ‘ওরা বলেছিল একুশে সাফ। দিদিকে সাফ করা গেল না। ২৬-এর নির্বাচনে জেলার ২৪টি আসনই পাবে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: ভার্চুয়ালি তদন্তের অগ্রগতি জানাতে হবে, আলিপুরদুয়ার নিগ্রহ কাণ্ডে তৎপর জাতীয় মহিলা কমিশন

বুলবুল খান বলেন, ‘যাঁরা যোগ দিলেন তাঁরা প্রত্যেকে বিজেপিতে খুব সক্রিয় ছিলেন। খুব ভাল কাজ করতে দেখেছি। এদের যোগদানে তৃণমূল আরও শক্তিশালী হবে।’ বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘দেশ জুড়ে পেট্রোল সহ বিভিন্ন জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। দুর্নীতিগ্রস্তরা বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে। ভারতবাসীর শপথ নেওয়া উচিৎ এই সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে হারানোর।’

এ দিকে এই যোগদান কে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা রূপেশ আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘ এই মুহূর্তে বিজেপি থেকে জঞ্জাল পরিষ্কার করা হচ্ছে। যাদের এক পা তৃণমূলে ছিল আর এক পা বিজেপিতে, তারা চলে যাচ্ছে তৃণমূলে। যারা যাওয়ার যাক, আমরা নতুন করে সংগঠন সাজাব। ওই কাটমানির দলে গিয়ে কেউ কাজ করতে পারবে না।”