AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: ভর্তি ফি কমানো নিয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে TMCP-র তাণ্ডব, অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে

Malda Gour Banga University: ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা বিভাগে ভর্তি ফি ছিল ২৩০০ টাকা। কিন্তু সেটা এখন বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৮২০ টাকা। একই রকম ভাবে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি ফি ছিল ৩৭২০ টাকা কিন্তু এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৮২০ টাকা।

Malda: ভর্তি ফি কমানো নিয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে TMCP-র তাণ্ডব, অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2025 | 2:47 PM
Share

মালদহ: ভর্তির ফি কমানোর দাবিতে ফের বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রছাত্রীরা। সোমবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় সিমেস্টারের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, অনৈতিক উপারে এক ধাক্কায় দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে ফিজ। তাতেই সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান পিজি-র ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। অভিযোগ, সেই বিক্ষোভের মাঝে টিএমসিপি-র বহিরাগতরা এসে হামলা চালায়। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। অসুস্থ হয়ে পড়েন একাধিক পড়ুয়া। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা বিভাগে ভর্তি ফি ছিল ২৩০০ টাকা। কিন্তু সেটা এখন বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৮২০ টাকা। একই রকম ভাবে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি ফি ছিল ৩৭২০ টাকা কিন্তু এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৮২০ টাকা। দুমাস আগে রেজিস্টার তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভর্তি ফি বাড়ানো হবে না। কিন্তু হঠাৎ দুদিন আগে নোটিস জারি করে এই ভর্তি ফি বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। তারই প্রতিবাদে তাঁদের আন্দোলন। অভিযোগ, সেই আন্দোলনের মাঝেই বহিরাগতরা এসে তাঁদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হামলা চালায়। জোরপূর্বক তাঁদের সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট খুলে দেন।

বিক্ষোভের মাঝেই ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক ছাত্রছাত্রী। হাতজোড় করে এক ছাত্রী বলেন, “তৃণমূলের দালালরা এসে আমাদের ওপর মারধর করে অবরোধ তুলে দিল। ওরা গৌড়বঙ্গের কেউ নয়, বহিরাগত। পুরনো ফিজ থেকে ১১০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পড়াশোনাটাও ঠিক মতো করায় না। অথচ, সিসিটিভি, জল এসবের জন্য আমাদের ফিজ বাড়িয়ে দিচ্ছে।”

আরেক ছাত্রী বলেন, “আমরা তো চেয়েছিলাম রেজিস্ট্রার স্যরের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু উনি না এসে বাইরে থেকে কারা এসেছিলেন, চিনিও না, আমাদের ধাক্কা দিয়ে মেরেধরে সরিয়ে দিল।”

যদিও বহিরাগত বলে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তাঁদের একাংশ বলেন, “সকাল থেকে এখানে কলেজের গেট বন্ধ ছিল। কেবল তো এখানে পিজি ছাত্রছাত্রীদেরই বিশ্ববিদ্যালয় নয়। অনান্য কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এসেছিল কাজের জন্য। তারা এসে দেখে কলেজের গেট বন্ধ। তাদের সঙ্গেই ধস্তাধস্তি হয়েছে।”

জানা গিয়েছে, নয় বছর পরে স্নাতকোত্তরের ফি দ্বিগুন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। দুই মাস আগে ছাত্র বিক্ষোভে ভর্তি পক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। তবে উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস। তবে বৈঠকে ফি কমানো নিয়ে সিদ্ধান্ত না নিয়ে, এ দিন থেকে ভর্তি পক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। তাতে ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের একাংশ।