India-Bangladesh Border: বাংলা থেকে কাঁচামালের গাড়ি ঢোকানো বন্ধ করল বাংলাদেশ, ভারতে কী প্রভাব পড়বে জানেন?
Malda-Bangladesh Border: এই বিষয়ে শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, আজ মাহাদিপুর সীমান্তে যে সমস্ত কাঁচামালের গাড়ি ছিল তা রপ্তানি করা হয়েছে। তবে আগামী দু'দিন চলতে পারে অনিশ্চয়তা। তবে পরিস্থিতি ঠিক না হলে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন ব্যবসায়ীরা।
মালদহ: দীর্ঘ প্রায় এক মাসের উপর অশান্ত রয়েছে বাংলাদেশ। তবে গত দু’দিন সেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেদেশের রাস্তায় নেমেছেন লক্ষ-লক্ষ প্রতিবাদী জনতা। আর অশান্ত বাংলাদেশের ঢেউ এসে ঠেকেছে এ রাজ্যেও। সোমবার বিকেলের পর থেকে বাংলাদেশের এই অস্থির পরিস্থিতির জন্য পুরোপুরি বন্ধ করা হল মালদহ জেলায় ভারত ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত মাহাদিপুর স্থলবন্দর।
এই বিষয়ে শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, আজ মাহাদিপুর সীমান্তে যে সমস্ত কাঁচামালের গাড়ি ছিল তা রপ্তানি করা হয়েছে। তবে আগামী দু’দিন চলতে পারে অনিশ্চয়তা। তবে পরিস্থিতি ঠিক না হলে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন ব্যবসায়ীরা। একদিনে এই সীমান্ত দিয়ে প্রায় ১৮ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে জানালেন মহাদেবপুর কাস্টমের আধিকারিক দেশ দুলাল চট্টোপাধ্যায়।
দেশদুলালবাবু জানিয়েছেন, “আমরা কয়েকদিন ধরেই আশঙ্কা করছিলাম। আজ সেটাই ঘটল। এর প্রভাব কয়েকদিন চলবে আশা করছি। আমরা সে দেশের শুল্ক দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি। আজ এখান থেকে আড়াইশো-তিনশো গাড়ি পাঠিয়েছি। কিন্তু এরপর আর নিতে পারবে না। সেদেশের শুল্ক দফতর জানিয়েছে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করার নির্দেশ আসেনি। হয়ত একটু অসুবিধা হবে।” একই সঙ্গে ভারতের ক্ষতি নিয়েও মুখ খোলেন ওই আধিকারিক। বলেন, “পনেরো থেকে কুড়ি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রার আসে। সেটা বন্ধ হবে। এর পাশাপাশি দেড়-দু’কোটি টাকার যে শুল্ক আদায় হয় ওইটাও ক্ষতি হবে। একই ভাবে বাংলাদেশেরও ক্ষতি হবে। তাই আমার মনে হচ্ছে ওরা বেশিদিন বন্ধ রাখবে না। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।”