Murshidabad Road: অ্যাম্বুলেন্স ঢোকার পথ নেই! অগত্যা রোগীকে খাটিয়ায় শুইয়ে হাসপাতালে ছুট
Murshidabad: অ্যাম্বুলেন্স আসবে কোথা থেকে? চার চাকার গাড়ি ঢোকার রাস্তাই যে নেই! অগত্যা মুমুর্ষু রোগীকে নিয়ে বাঁশের তৈরি দোলনায় চাপিয়ে চারজন চারদিকে কাঁধ দিয়ে নিয়ে যান চিকিৎসা করাতে। অভিযোগ তেমনই। মুর্শিদাবাদের ভবানন্দপুর গ্রামের এমনই একটি দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মুর্শিদাবাদ: বাড়িতে কেউ হঠাৎ অসুস্থ? রাত-বিরেতে অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন? কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসবে কোথা থেকে? চার চাকার গাড়ি ঢোকার রাস্তাই যে নেই! অগত্যা মুমুর্ষু রোগীকে নিয়ে বাঁশের তৈরি দোলনায় চাপিয়ে চারজন চারদিকে কাঁধ দিয়ে নিয়ে যান চিকিৎসা করাতে। অভিযোগ তেমনই। মুর্শিদাবাদের ভবানন্দপুর গ্রামের এমনই একটি দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কান্দি ব্লকের হিজল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই গ্রামে যাতায়াতের জন্য রাস্তা একটা রয়েছে বটে। কিন্তু অভিযোগ, সংস্কারের অভাবে, সেটির দশা বেহাল। বর্তমানে সেটির যা হাল, তাকে আর যাই বলা যাক, রাস্তা বলা যায় না।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে এই রাস্তার কোনও সংস্কার হয়নি। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় দরবার করা হয়েছে, কিন্তু এখনও মেলেনি সুরাহা। রোগীদের রাত-বিরেতে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে, কালঘাম ছুটে যায় গ্রামবাসীদের। অসহায় গ্রামবাসীরা একরাশ আক্ষেপ নিয়ে বলছেন, ‘এরকম অসহায় গ্রাম আর কোথাও নেই। দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর হয়ে গিয়েছে, কিন্তু আমাদের এই গ্রাম এখনও স্বাধীন হয়নি।”
গ্রামের এক রোগীকে চার কাঁধে তুলে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে স্ট্রেচার জাতীয় একটি বস্তুতে রোগীকে শুইয়ে চারজন মিলে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেটি। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। কবে ঘুম ভাঙবে প্রশাসনের? কবে সংস্কার হবে এই রাস্তা? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
গ্রামবাসীদের এই দুর্দশা নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করতে শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস শিবির। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব বলছে, “ভবানন্দপুর দেখে মনে হচ্ছে, এটা যেন আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এখানকার মানুষ সরকারের উন্নয়ন কী, তা দেখতে পায় না। এখনও খাটিয়ায় করে কিংবা ঘাড়ে করে রোগীকে মাইলের পর মাইল নিয়ে যেতে হয়। এটা যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ।”
যদিও কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম সরকারের বক্তব্য, ওইখান দিয়ে কোনওকালেই পাকা রাস্তা ছিল না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ফেরীঘাট হয়েই যাতায়াত করেন গ্রামবাসীরা। বললেন, “ওখানে তো রাস্তা আছে। নদী পাড় হয়ে ঘাট আছে। ঘাট পার হলেই পাকা রাস্তা। স্বাধীনতার পর থেকে ওই ঘাট দিয়েই গ্রামের লোকেরা যাতায়াত করেন। রাস্তা বলে ওখানে কিছু ছিল না। আমরা মাটি দিয়ে রাস্তা করে দিয়েছি। আড়াই কিলোমিটার রাস্তার প্রস্তাব গিয়েছে, সেটা অনুমোদন হয়ে গেলেই হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না ছাড়লে কীভাবে রাস্তা হবে। ওটা তো কেন্দ্রীয় সরকারের প্রজেক্ট।”
জেলার বিজেপি নেতা শঙ্কর তরফদার অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁর সন্দেহ, এই রাস্তাও হয়ত অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। অথচ রাস্তার কাজ হয়নি। বললেন, “প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার জন্য প্রচুর টাকা দেওয়া হচ্ছে। আর তৃণমূল টাকা লুঠ-পাট করে খাচ্ছে।”