CPIM Joining: শাসক দলে বড় ভাঙন, তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমের হাত ধরলেন শতাধিক কর্মী
CPIM Joining: তৃণমূল ছে়ড়ে সিপিএমে যোগ দেওয়ার পর সোনাই মণ্ডল বলেন, দলবদল করার পর বলেন, 'যে দলে সম্মান নেই, সেই দল করতে চাই না।'

জলঙ্গি: ফের শক্তি বৃদ্ধি বামেদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক দলে ফের ভাঙন। শুক্রবার পঞ্চায়েত সদস্য, বুথ সভাপতি সহ শতাধিক তৃণমূল কর্মী যোগ দিলেন সিপিএমে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির জোড়তলায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই যোগদান প্রক্রিয়া চলে। নিয়োগ সহ বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই কোণঠাসা শাসক দল। এরই মধ্যে জলঙ্গিতে বড়সড় ভাঙন দেখা গেল শাসকদলে। এদিনের যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন জলঙ্গির প্রাক্তন বিধায়ক ইউনুস সরকার সহ আরও অনেকেই।
তৃণমূল ছে়ড়ে সিপিএমে যোগ দেওয়ার পর সোনাই মণ্ডল বলেন, দলবদল করার পর বলেন, ‘যে দলে সম্মান নেই, সেই দল করতে চাই না। আর গোটা রাজ্যে যা অবস্থা দেখছি, যত নেতা আছেন, তাঁরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই আদর্শগত দিক থেকে আমরা সরে এলাম।’ এছাড়া তৃণমূল সাধারণ মানুষের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, আরও অনেক নেতা তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিতে পারেন।
জলঙ্গির প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা ইউনুস সরকার বলেন, তৃণমূল নেতারা দলে সম্মান পাচ্ছেন না, তাই দল ছেড়ে দিচ্ছেন। ওঁরাও বুঝতে পেরেছেন, দলের সবাই চোর। আজ থেকে শুরু হল। প্রায় ১০০ জন যোগদান করেছেন। তাঁর দাবি, এই এলাকায় সিপিএমের শক্তি আগে থেকেই বেশি। তৃণমূল নেতারা যোগ দেওয়ায়, সেই শক্তি বাড়ছে আরও। তিনি জানিয়েছেন, দুর্নীতির সঙ্গে যোগ আছে, এমন নেতাদের নেওয়া হচ্ছে না দলে।
কিছুদিন আগেই একই ছবি দেখা যায় নদিয়া জেলার তেহট্টে। শ্যামনগর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমের পতাকা হাতে তুলে নেন প্রায় ৩০০ জন। এইভাবে রাজ্যের একাধিক জায়গায় সিপিএমের শক্তি বাড়ছে বলে মনে করছে বাম নেতৃত্ব।





