Murshidabad School: ক্লাসের মাঝেই শুরু হয়ে যায় ‘গেম’, শিক্ষকদেরও মোবাইল নিয়ে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা স্কুলের
Murshidabad School: অভিভাবকদের পাশাপাশি পড়ুয়ারাও স্কুলের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে।
মুর্শিদাবাদ: স্টাইলেই মেতে থাকছে পড়ুয়ারা, পড়াশোনাটাই গৌণ হয়ে যাচ্ছে। এই ভাবনা থেকেই পড়ুয়াদের জন্য নয়া নিয়ম চালু করল মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের বহরাগাছি হাই স্কুল। শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত, এবার থেকে কোনও স্টাইল করে চুল কেটে আসা যাবে না। চুলে রঙ করেও আসা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিয়ম শুধু পড়ুয়াদের জন্য নয়, নিয়মের আওতায় পড়বেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। ক্লাসে পড়াতে যাওয়ার সময় তাঁদের হাতে রাখা যাবে না মোবাইল। স্কুলের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন অভিভাবকেরা। পড়ুয়াদের মতে, কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে আরও ভাল হবে পড়াশোনার মান।
সোমবার এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, মঙ্গলবার থেকে স্কুলে যেতে গেলে পড়ুয়ারা কোনও স্টাইল করে চুল কেটে যেতে পারবেন না। চুলে বাহারি রঙ করেও স্কুলে যাওয়া যাবে না।
ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদেরই আর একটি স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সামসেরগঞ্জের সেই স্কুলের নিষেধাজ্ঞা জারির বিজ্ঞপ্তিও ভাইরাল হয় কিছুদিন আগে। আর বহরাগাছি হাইস্কুলের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মোবাইল সহ ধরা পড়ে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টিতে অভিভাবকদের নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সুস্মিতা দাস নামে এক পড়ুয়া জানায়, তারা স্কুলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত। তারা মনে করছে, এ ভাবে আদতে পড়াশোনার মান ভাল হবে। তাই তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। এই সিদ্ধান্ত যুক্তি সঙ্গত বলে দাবি ছাত্রীর।
শিক্ষকেরা জানান, মোবাইলের ব্যবহার নিয়ে অনেক অভিভাবক আপত্তি জানিয়েছিলেন। এরপর থেকেই এই বিষয়ে বিবেচনা করা হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের দাবি, শিক্ষক-শিক্ষিকারা যদি ৪০ মিনিটের ক্লাসের মধ্যে ৫ মিনিট মোবাইল ব্যবহার করেন, তাহলেও ক্লাসের অনেক ক্ষতি হয়। শুধু তাই নয়, দুটি ক্লাসের মাঝে পড়ুয়াদের মোবাইলে গেম খেলতে দেখা যায় বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাই অবিলম্বে এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হচ্ছে স্কুলে।