Jibankrishna Saha: মাথা ঘুরে যাবে জীবনকৃষ্ণর বাড়ি দেখলে; রেশনের গোডাউন থেকে লরি রাখার জায়গা কী নেই…
Murshidabad: পুকুরের পাশেই বিধায়কের ১৫ বিঘা জমি রয়েছে। উর্বর মাটি, তাই এ জমির দরও যথেষ্ট চড়া।
মুর্শিদাবাদ: পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, সুবীরেশ ভট্টাচার্য থেকে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে এবার জীবনকৃষ্ণ সাহা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের স্ক্যানারে নতুন নাম। তবে নাম নতুন হলেও, এর আগে নিয়োগকাণ্ডে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন বা যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁদের পিছনে একসঙ্গে একটা সময় ব্যয় করতে হয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। ৫০ ঘণ্টা পার করে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার (Burwan) বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha) বাড়িতে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। ঘটনাবহুল এই অভিযান-পর্বও। বড়ঞার আন্দিতে বাড়ি জীবনকৃষ্ণের। শুক্রবার দুপুর থেকে যেখানে রয়েছে সিবিআইয়ের দল। পেনড্রাইভ, মোবাইল থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র, কয়েকশো কোটির দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এরইমধ্যে উঠে আসছে আরও সম্পত্তির তথ্য। সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণের আন্দি গ্রামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। এক বিঘার উপর জমিতে বাড়ি, রয়েছে গাড়ি, পুকুর ও জমিজমা। তদন্তকারীরা জানতে চান, এই সম্পত্তির উৎস।
জীবনকৃষ্ণ সাহা পেশায় স্কুল শিক্ষক। তবে স্কুল শিক্ষকতার আয়ে এত বিপুল সম্পত্তির মালিকানা আদৌ কি সম্ভব, সে প্রশ্ন সকলেরই। মহম্মদবাজার বহরমপুর রাজ্য সড়কের পাশে আন্দি বাজারের প্রাণকেন্দ্রে তাঁর প্রায় এক বিঘা জমির উপর বাড়ি। বাড়িতে ডিজাইনের কারুকাজ নেই ঠিকই, তবে বেশ বড়সড়। উঁচু পাঁচিলের চৌহদ্দির মধ্যেই রেশন সামগ্রী মজুত করার বিশাল গোডাউন রয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর।
সূত্র বলছে, এই গোডাউন থেকেই বড়ঞা ব্লকের সবকটি রেশন দোকানে রেশন সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই রাখার ব্যবস্থা রয়েছে বিধায়কের একাধিক লরি ও বিভিন্ন আকারের চার চাকার গাড়ির। বাড়ির পিছনে রয়েছে পুকুর। সেই পুকুর, সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে যেখানে সর্বক্ষণের সঙ্গী মোবাইল দু’টি ছুড়ে ফেলেছিলেন তিনি। যদিও পুকুরের পাঁক ছেচে একটি তুলে এনেছেন সিবিআইয়ের লোকজন।
পুকুরের পাশেই বিধায়কের ১৫ বিঘা জমি রয়েছে। উর্বর মাটি, তাই এ জমির দরও যথেষ্ট চড়া। তবে বিধায়ক ঘনিষ্ঠদের দাবি, এসব জীবনকৃষ্ণের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি। এর বাইরেও জীবনকৃষ্ণের নামে বেনামে বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি রয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও সেই সম্পত্তির একটা বড় অংশই বীরভূম জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর সেই বিপুল সম্পত্তির পরিমাণ ঠিক কতটা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।