Jibankrishna Saha: বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে শিক্ষকতা, সিবিআই-এর নজরে এবার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের শ্যালক
Jibankrishna Saha: আন্দিতে তাঁর একটি জেরক্সের দোকানও রয়েছে। জীবন সাহা সমস্ত জেরক্স করাতেন তাঁর দোকন থেকেই। চাকরির জন্য অনেকেই যে জীবনের কাছে আসতেন, তা স্বীকার করেছেন নির্বাণ।
বড়ঞা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার নজরে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার শ্যালক নিতাই সাহা। তিনি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে শিক্ষকতা করেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে স্কুলে যোগ দেন। কীভাবে নিতাই সাহার চাকরি প্রাপ্তি, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কতটা তাঁর প্রভাব, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সবথেকে উল্লেখযোগ্য, নিমাই যে সময়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, অর্থাৎ ২০২২ সালের মার্চ মাস, তখন কোনও নিয়োগপ্রক্রিয়া সে অর্থে চলছিল না। তিনি কোন সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন, সেটাও স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি এটাও জানা গিয়েছে, যে স্কুল নিয়ে শিক্ষকতা করতেন, সেখানে কোনও শূন্যপদও ছিল না। কারণ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরাও শূন্যপদের বিষয়ে কিছু জানতেন না। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ির পাশাপাশি তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন আন্দির বাসিন্দা জীবনের ছায়াসঙ্গী নির্বাণ দত্ত। কোথাও গেলে জীবনকৃ্ষ্ণ তাঁকেই সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন। আন্দিতে তাঁর একটি জেরক্সের দোকানও রয়েছে। জীবন সাহা সমস্ত জেরক্স করাতেন তাঁর দোকন থেকেই। চাকরির জন্য অনেকেই যে জীবনের কাছে আসতেন, তা স্বীকার করেছেন নির্বাণ।
তিনি বলেন, “আমাকে ছোট থেকেই ভালবাসত। ছোটবেলায় পাড়ার সরস্বতী পুজোর সময় থেকেই চিনতাম। বিধায়ক হওয়ার আগে সম্পর্ক ছিল। ভোটের সময়ে অনেক কাগজপত্র জেরক্স করেছেন।”
দেড় জিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চলছে। খানাতল্লাশিতে পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল। এখনও আরেকটি মোবাইলের খোঁজে চলছে তল্লাশি। (এই দুটি মোবাইলই শনিবার পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন বিধায়ক)। জীবনের বাড়িতে এখনও চলছে তল্লাশি। দন্তকারী সংস্থার দু’টি দলের মোট ১২ জন তদন্তকারী আধিকারিক বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। জীবনকৃষ্ণের একাধিক ঘর এবং অফিসে তল্লাশি চলছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া নথিপত্র। টানা ৪০ ঘণ্টা তল্লাশির পর সিবিআই এখন তৈরি করছে সিজ়ার লিস্ট।